ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও ভূমিকা নেই। মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট এই কথা জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। আরও বলেন, ভারত-পাক সংঘর্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের মধ্যে যখন কথা হচ্ছে সেই সময়ে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। তাই কীভাবে সংঘর্ষবিরতি হয়েছে সেটা পুরোপুরি তাঁর জানা আছে।
কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিতে আমেরিকায় গিয়েছেন জয়শংকর। সেখানেই একটি আলোচনাসভায় তিনি বলেন, “মোদি এবং ভ্যান্স যখন টেলিফোনে কথা বলছেন তখন আমিও ঘরে ছিলাম। ভ্যান্স জানান, অপারেশন সিঁদুরের পরেই বড়সড় হামলা করবে পাকিস্তান। তবে সেটা আমরা মানতে চাইনি। পাকিস্তান কী করবে সেটা শুনতেই চাননি প্রধানমন্ত্রী। শুধু জানিয়েছিলেন, ভারতও পালটা দেবে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, পাক হামলা দক্ষভাবে আটকে দেয় ভারত।
তার পরের দিন সকালবেলা ফের ওয়াশিংটন যোগাযোগ করে নয়াদিল্লির সঙ্গে। সেই অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে জয়শংকর বলেন, “আমাকে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও বলেন যে পাকিস্তান আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক। সেদিন দুপুরেই পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল কাশিফ আবদুল্লা ফোন করেন ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাইকে। সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ জানায় পাকিস্তান।” তবে কথা বলার সময়ে একবারও মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ করেননি জয়শংকর। কিন্তু নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানিয়েছেন, ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতিতে কোনও তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা ছিল না। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই হয়তো পাকিস্তান মাথা নোয়াতে বাধ্য় হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সংঘর্ষবিরতির দিন থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, তাঁর মধ্যস্ততাতেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই দেশের মধ্যেকার যুদ্ধ থেমেছে। তিনি দাবি করেন, বাণিজ্যের শর্তেই ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে। যার মধ্যস্ততা তিনিই করেছেন। বারবার ভারতের তরফ থেকে এই দাবি নাকচ করা হয়েছে। জয়শংকর নিজেও ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন অতীতে। এবার আমেরিকায় দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের ‘মিথ্যাচারে’র বিরুদ্ধে প্রমাণ দিলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.