সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষ চলাকালীন চিনের ভূমিকা নিয়ে ইয়র্কর ছুড়লেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এক জার্মান সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিনের ভারত বিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গেল জয়শংকরকে। সন্ত্রাসী পাকিস্তানের পর্দাফাঁস করার পাশাপাশি চিনের নাম না করেই তিনি বললেন, ‘দুই দেশ একে অপরের বেশ ঘনিষ্ঠ। বাকিটা আপনারা বুঝে নিন।’ পাশাপাশি দুই দেশের সংঘর্ষবিরতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৃতিত্ব আদায়ের বিষয়েও মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী।
২২ এপ্রিল ও পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। যার বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। সেই হামলার পালটা গত ৭ এপ্রিল ভারতের অপারেশন সিঁদুর গুঁড়িয়ে দেয় পাকভূমে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘাতে জড়ায় দুই দেশ। পালটা কাশ্মীর থেকে গুজরাট পর্যন্ত বেপরোয়া ড্রোন হামলা শুরু করে পাক সেনা। যদিও সেই হামলা রুখে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। দেখা যায়, যে অস্ত্রে পাকিস্তান ভারতে হামলা চালিয়েছে তা চিন ও তুরস্কের। সেই প্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলা সংঘাতে চিনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় সংবাদমাধ্যমের তরফে।
তবে সরাসরি চিনের নাম না করলেও বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আপনারা জানেন পাকিস্তানের হাতে যে সব অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে, তার বেশিরভাগই চিনের থেকে নেওয়া। এবং দুই দেশ একে অপরের বেশ ঘনিষ্ঠ। এর থেকেই আপনারা বাকিটা আপনারা বুঝে নিন।” অর্থাৎ সরাসরি চিনের নাম না করলেও ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রে চিন যে বরাবরই লিপ্ত তা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
শুধু তাই নয়, আমেরিকার চাপের মুখে দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে দাবি কতটা ঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে জয়শংকর বলেন, “সংঘর্ষবিরতি দুই দেশের সেনা কমান্ডারদের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল। তার আগে আমরা পাকিস্তানের প্রধান বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করে দেই। ফলে সংঘর্ষবিরতির কৃতিত্ব ভারতীয় সেনার। যাদের কঠোর পদক্ষেপের ফলে পাকিস্তান বলতে বাধ্য হয়, তারা যুদ্ধবিরতি চায়।” পাশাপাশি দুই দেশের উত্তেজনায় পরমাণু সংঘাতের সম্ভাবনাও পুরোপুরি খারিজ করে দেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.