Advertisement
Advertisement
S Jaishankar

‘একটি দেশ সন্ত্রাসকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসাবে ঘোষণা করেছে’, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধনা জয়শংকরের

আর কী বললেন তিনি?

S Jaishankar tears into Pakistan at UN
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:September 28, 2025 8:56 am
  • Updated:September 28, 2025 9:29 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলামাবাদ বারবার অস্বীকার করলেও সন্ত্রাসের প্রত্যক্ষ মদতদাতা যে পাকিস্তান, সেই প্রমাণ বারবার মিলেছে। এবার রাষ্ট্রসংঘে পহেলগাঁও প্রসঙ্গ তুলে প্রতিবেশী দেশটিকে তুলোধনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বলেন, “একটি দেশ সন্ত্রাসকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসাবে ঘোষণা করেছে।”

Advertisement

শনিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসংঘ আমাদের কেবল যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার জন্য জন্য নয়, বরং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। কেবল অধিকার রক্ষার জন্য নয়, বরং প্রতিটি মানুষের মর্যাদা অক্ষত রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।” এরপরই পাকিস্তানকে নিশানা করে জয়শংকর বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত এই সন্ত্রাসবাদের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। কারণ, আমাদের প্রতিবেশী দেশটি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল। কয়েক দশক ধরে, আন্তর্জাতিক স্তরে বড় বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাগুলি সেই একটি দেশ থেকেই পরিচালিত হয়েছে। সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ছিল চলতি বছরের এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের হত্যা।”

তাঁর হুঙ্কার, “ভারত তার নাগরিকদের রক্ষা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার অধিকার প্রয়োগ করেছে। গোটা বিশ্বের কাছে যা ছিল একটি বড় বার্তা। যখন কোনও দেশ প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি ঘোষণা করে, তখন তা শিল্পে পরিণত হয়। যখন সন্ত্রাসবাদীদের প্রকাশ্যে মহিমান্বিত করা হয়, তখন এই ধরনের কর্মকাণ্ডের দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা করা উচিত।” পহেলগাঁও হামলার  পর যে দেশগুলি পাকিস্তানে পাশে দাঁড়িয়েছিল, তাঁদের সতর্ক করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসের অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি গ্রহণ করতে হবে। সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী দেশগুলির প্রতি যারা সহানুভূতিশীল, তাদের মনে রাখতে হবে যে এই বিষ তাদের দেশেও প্রবেশ করতে পারে।”

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ভারতের ২৫ জন পর্যটক ও এক স্থানীয় নাগরিকের। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, নৃশংস এই হামলার পর গত তিন মাস ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিল জঙ্গিরা। পরে ‘অপারেশন মহাদেবে’ নিকেশ করা হয় তাদের। তারও আগে, হামলার অব্যবহিত পরেই চালানো হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। মাত্র ২২ মিনিটের মধ্যে জঙ্গিনেতাদের বাড়ি একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। ১০০ শতাংশ নিশানায় সফলভাবে আঘাত হানার দাবি করে কেন্দ্র।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ