সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর লেখক তথা বুকারজয়ী লেখক সলমন রুশদির উপরে হামলার ঘটনায় শিউরে উঠেছিল বিশ্ব। তবে ব্রিটেনের হে ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সেই হামলার কথা তিনি ভুলে গিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি মুখ খুললেন এআই নিয়েও। জানিয়ে দিলেন, তিনি কখনও এআই-এর সাহায্য নিয়ে লেখালেখি করেননি। পাশাপাশি তাঁর দাবি, এআই কখনও লেখকের কাছে ‘বিপদ’ হয়ে উঠবে না।
কিন্তু কেন? বর্ষীয়ান সাহিত্যিকের সরস জবাব, ”ওর কোনও রসবোধ নেই। আপনি চ্যাটজিপিটির থেকে কোনও জোক শুনতে চাইবেন না নিশ্চয়ই। যদি কোনওদিন চ্যাটজিপিটি মজাদার বই লিখে ফেলে তাহলে আমি পাগল হয়ে যাব।” সাম্প্রতিক অতীতে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই। সে লেখক-শিল্পীদের কাজেও ভাগ বসাবে কিনা তা নিয়ে চলছে বিতর্ক। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন রুশদি।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বুকারজয়ী লেখক সলমন রুশদির উপরে হামলায় দোষী সাব্যস্ত হাদি মাতার ২৫ বছরের কারাবাসের সাজা দিয়েছে আদালত। সেপ্রসঙ্গে সাহিত্যিকের দাবি, ”আমি খুশি বিচার শেষ হয়েছে। ওকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে। এর সমাপ্তিটা অনেকটা একটা বই লেখা শেষের মতো তৃপ্তিদায়ক।” মাতারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। সেই সময় রুশদিকে হামলার মুহূর্তের বর্ণনায় বলতে শোনা যায়, ”আমি বুঝতে পেরেছিলাম রক্তের বিছানায় শুয়ে আছি। দ্রুত আমার চেতনা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছিল। চোখে ও হাতে যন্ত্রণা হচ্ছিল। মনে হয়েছিল বুঝি মারাই যাব।” মাতার রুশদির শরীরে ১৫টি আঘাত করেছিল। মাথা, ঘাড়, বাঁ হাত, চোখ সর্বত্র ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল মুহূর্তে। এখনও তাঁর একটি হাতে সাড় নেই। চিরকালের মতো নষ্ট হয়েছে এক চোখের দৃষ্টি। তবু সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে জীবনের মূলস্রোতে ফিরেছেন রুশদি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.