ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘শত্রু যে ভাষা বোঝে, তাঁকে সেই ভাষাতেই জবাব দিয়েছে ভারত।’ ডেনমার্কের কোপেনহেগেন থেকে শত্রু পাকিস্তান সম্পর্কে বিশ্বকে সতর্ক করার পাশাপাশি ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। জানালেন, ‘যারা সিঁদুর মুছেছে, তাদের সেই কুকর্মের মূল্য চোকাতে হয়েছে।’
পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের অবস্থান এবং পাকিস্তানের দ্বিচারিতা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে কেন্দ্র। বিজেপি সাংসদ রবিশংকর প্রসাদের নেতৃত্বাধীন দলটি বর্তমানে রয়েছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “গোটা বিশ্বে আমরা ঘুরছি হাতজোড় করে কারও কাছে সাহায্য চাওয়ার জন্য নয়। উদ্দেশ্য একটাই সকলকে সতর্ক করা। আজ যেটা আমাদের সঙ্গে হচ্ছে, কাল তোমাদের সঙ্গেও হবে। ফলে এই সন্ত্রাসবাদকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে হবে।” পাশাপাশি যারা পাকিস্তানের মানবাধিকার সংক্রান্ত জ্ঞানকে একহাত নিয়ে শমীক বলেন, “পাকিস্তান আজ মানবাধিকারের জ্ঞান দিচ্ছে। প্রতিদিন আমাদের সেনা শহিদ হচ্ছেন কাশ্মীরে। সব জাগায় আমাদের লোক মারা যাচ্ছেন। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের হত্যা করে মোদিকে বার্তা দিয়েছিল জঙ্গিরা। তবে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে ওই হত্যার অর্থ শুধু মোদিকে বার্তা নয়, উদ্দেশ্য গোটা দেশে দাঙ্গা ছড়িয়ে দেওয়া। তবে ভারতের মানুষ সে ফাঁদে পা দেয়নি।”
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে গোটা দেশ যে এককাট্টা সে বার্তা দিয়ে শমীক বলেন, “আজ সব রাজনৈতিক দল একজোট। পাকিস্তানকে জবাব দিতে হবে। আমরা হাতজোড় করে অন্যের কাছে ভিক্ষা চাই না সাহায্যের, সে দিন চলে গিয়েছে। পাকিস্তান যে ভাষা বোঝে সেই ভাষায় জবাব দেওয়া হয়েছে। যারা সিঁদুর মুছেছে, তাদের সেই কুকর্মের মূল্য চোকাতে হয়েছে।” পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলেন, “ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন। অথচ তাঁর নামাঙ্কিত গ্রন্থাগার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা নালন্দা, তক্ষশিলা ধ্বংস করেছিল তারাই এই কাণ্ড করেছে। আমি কোনও ধর্মের কথা বলছি না। ওই মানসিকতার মানুষরা এই কাজ করছেন। ওখানে বিদ্বেষ বাড়ছে, স্লিপার সেল ছড়াচ্ছে। শুধু ভারত নয়, গোটা ইউরোপ এর কবলে।”
সেই প্রসঙ্গেই সাংসদ বলেন, “এখনও যদি আমাদের গোটা বিশ্ব জ্ঞান দেয়, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাও। তবে বলব, আপনার বুকে যদি কেউ একে-৪৭ ধরে তবে আপনি কী বলবেন, হরে কৃষ্ণ। আপনারা ইসকনের লোক হবেন? দেখুন না ইসকনের এক সন্ন্যাসীকে যাকে জেলে ঢোকানো হয়েছে। যে তাঁর জন্য খাবার দিতে গিয়েছিল তাকেও জেলে পুরেছে। ফলে আমি বলব, সন্ত্রাসের সমস্যা গোটা বিশ্বের সমস্যা। ভারত আর এসব সহ্য করবে না। কথা যদি হয় তবে অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.