সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে সাংহাই কোঅপারেশন কাউন্সিলের বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতোই যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তাঁর সামনেই এসসিও সদস্যদের বৈঠকে মোদি সাফ জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা সহ্য করবে না ভারত। এরপর এসসিও সদস্য দেশগুলির যৌথ বিবৃতি পহেলগাঁওয়ের ঘটনার নিন্দা করা হয়। উল্লেখ্য, পহলেগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রথম দিন থেকেই পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে ভারত। এখন প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান কি এসসিও দেশগুলির পহেলগাঁও সংক্রান্ত যৌথবিবৃতি সম্পর্কে অবগত ছিল? এই বিষয়ে মুখে খুলেছে পাক বিদেশমন্ত্রক। কী বলেছে তারা?
চিনের তিয়ানজিনে এসসিও সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন অন্তত ২০টি দেশের প্রতিনিধি। সেখানে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “সদস্য রাষ্ট্রগুলি ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করছে। নিহত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হচ্ছে। এই হামলার অপরাধী, আয়োজক এবং মদতদাতাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।” পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের স্বাক্ষর ছিল এই বিবৃতিতে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই যৌথ বিবৃতিতে সম্মতি ছিল তাদের।
পাক বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘‘এসসিও-র যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে যে ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে, তাতে আমাদের সম্মতি রয়েছে। এই বিষয়ে আমরা এত দিন ধরে যে অবস্থান নিয়ে এসেছি, বিবৃতির বক্তব্যের সঙ্গে তা সঙ্গতিপূর্ণ।’’ এইসঙ্গে ভারতকে বার্তা দিয়ে পাকিস্তান বলেছে, ‘‘ভারতের উচিত নিজেদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করে শান্তির জন্য অন্য পথ গ্রহণ করা।’’
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। ভারত প্রথম থেকেই অভিযোগ তুলে আসছে যে পাকিস্তানের মদতেই এই হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা পাকিস্তানি বলে প্রমাণ মিলেছে। অন্যদিকে পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় নিজেদের যোগ অস্বীকার করছে পাকিস্তান। তারা এই বিষয়ে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.