Advertisement
Advertisement
Nepal

অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ, অগ্নিগর্ভ নেপালের হাল ধরলেন সুশীলা

অশান্ত নেপালে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫১ জন।

Sushila Karki sworn in as Interim PM of Nepal
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 12, 2025 10:13 pm
  • Updated:September 12, 2025 10:24 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার পতনের পর অগ্নিগর্ভ নেপালের হাল ধরলেন সে দেশের প্রাক্তন বিচারপতি ৭৩ বছরের সুশীলা কারকি। শুক্রবার রাতে নেপালের রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য প্রধানদের উপস্থিতিতে শপথ নিলেন তিনি। কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল আবাস থেকে বিবৃতি জারি করে সে কথা জানানো হয়েছে। ফলে ‘জেন জি’ বিক্ষোভের জেরে ওলি সরকারের পতনের চারদিন পর দেশটির দায়িত্বভার উঠল কারকির কাঁধে। 

Advertisement

অশান্ত নেপাল কার হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াবে সে নিয়ে আলোচনা চলছিলই। নেপালের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান হিসাবে প্রাথমিকভাবে কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহের নাম উঠছিল। কিন্তু ‘জেন জি’-র তরফে তাঁর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এরপরই কারকির নাম ওঠে এবং তাঁর পক্ষেই সবচেয়ে বেশি সমর্থন মেলে। নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। যিনি আবার বেণারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদও জানান কারকি। বলেন, “মোদিকে আমি নমস্কার জানাই। আমি তাঁকে সম্মান করি। ভারতের প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা এবং স্নেহ রয়েছে। কারণ, তারা সর্বদা নেপালের পাশে থেকেছে।”

নেপালের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে এই আন্দোলনে নিহত তরুণদের জন্য কিছু করা। তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। জেন জি নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদে আমার নাম সুপারিশ করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাঁদের অনুরোধ আমি গ্রহণ করেছি।” তিনি আরও বলেন, “নেপালে অনেক আগে থেকেই সমস্যা ছিল। এখন পরিস্থিতি আরও কঠিন। দেশের উন্নয়নের জন্য এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব আমরা।” তিনি বলেন। নেপালের নতুন সূচনা স্থাপনের চেষ্টা করব।” হবু প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তার পর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল জোরকদমে। অবশেষে শুক্রবার শপথ নিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বুধবার ৫ হাজার যুব আন্দোলনকারী একটি ভারচুয়াল বৈঠক করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে কারকির নাম প্রস্তাব করে। জানা যায়, তরুণ প্রজন্ম কারকির কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেল তিনি সমর্থনের জন্য কমপক্ষে ১,০০০ লিখিত স্বাক্ষর চেয়েছিলেন। যদিও তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে সমর্থন করে ২,৫০০-রও বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়। এরপর নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল ও প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেলেরও অনুমোদন পেয়ে যান কারকি। এখন নেপালের জেন জির প্রত্যাশা তিনি কতখানি পূরণ করতে পারবেন সেটাই এখন দেখার।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ