সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার উটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ চার্লি কার্কের। প্রাথমিক ভাবে সন্ধান মেলেনি খুনির। তবে জানা গিয়েছিল দূরপাল্লার স্নাইপার রাইফেল থেকে গুলি করা হয়েছিল তাঁকে। পরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে সন্দেহভাজন টাইলার রবিনসনকে। এবার তদন্তকারীদের হাতে এল ২২ বছরের ওই তরুণ ও তাঁর সঙ্গী রূপান্তরকামী ল্যান্স টুইগসের মধ্যে চালাচালি হওয়া টেক্সট মেসেজ। দাবি, একটি নোটও হাতে এসেছে পুলিশের। নোট ও টেক্সট মেসেজ থেকে পরিষ্কার, রবিনসন নিজের অপরাধ কবুল তো করেছিলেনই এবং জানিয়েছিলেন তিনি কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন এবং তাঁর ‘মোটিভ’ও। তদন্তকারীরা রবিনসনের মৃত্যুদণ্ডের আর্জি জানিয়েছেন আদালতে।
জানা যাচ্ছে, টাইলার নাকি জানিয়েছেন, তিনি একসপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কার্ককে হত্যার ছক কষছিলেন। আদালতে টুইগসকে বর্ণনা করা হয়েছে ‘জৈবিক ভাবে একজন পুরুষ যাঁর সঙ্গে রবিনসনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল’। তাঁরা লিভ ইন করতেন বলেও জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, কার্কের হত্যার ঘণ্টাতিনেকের মধ্যেই মেসেজ করেন টুইগসকে। তাঁকে জানান, কম্পিউটারের তলায় রাখা নোটটা দেখতে। টুইগস সেই নোটটি খুঁজে পেলে দেখেন সেখানে লেখা, ‘চার্লি কার্ককে অপসারিত করার সুযোগ পেয়েছি। আর এটা আমি নিতে চাই।’
এমন বার্তা পেয়েই টুইগস বারবার মেসেজ করতে থাকেন তাঁর সঙ্গীকে। বলা হচ্ছে রবিনসন নাকি জানিয়ে দেন, তিনি তখনও পর্যন্ত নিরাপদেই রয়েছে। এবং এই গোপন কথাটি তিনি বৃদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া পর্যন্ত নিজের সঙ্গেই রেখে দেবেন। এমন বার্তাও আরও হকচকিয়ে টুইগস জানতে চান, কার্ককে তিনিই খুন করেছেন কিনা। তদন্তকারীরা আদালতে দাবি করেছেন, এর জবাবে রবিনসন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘আমিই… দুঃখিত।’
কিন্তু কার্ককে হত্যা করলেন ওই তরুণ? এব্যাপারে তাঁর জবাব, ‘ওঁর ঘৃণায় আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। কিছু ঘৃণা আছে যা নিয়ে আলোচনা করা যায় না। আমি যদি আমার রাইফেলটা গায়েব করে দিতে পারি, তাহলে আমার কাছে কোনও প্রমাণই থাকবে না। ওটা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। আশা করি ওরা এগিয়ে গিয়েছে। আমি এমন কিছু দেখিনি যা থেকে বোঝা যায় ওরা এটা পেয়েছে।’ রবিনসন নাকি এও জানান, তিনি বন্দুকটা কাছের ঝোপে লুকিয়ে নিজের পোশাক বদলে নিয়েছেন পুলিশের চোখে ধুলো দিতে।
প্রসঙ্গত, উটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় হাজার তিনেক দর্শক হাজির ছিল। সেই সময়ই আচমকা গুলিবিদ্ধ হন কার্ক। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত বছর নির্বাচনী সভায় ট্রাম্পের কানের লতি ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল আততায়ীর বুলেট। কোনওমতে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও ভাগ্য সহায় হয়নি ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ৩১ বছর বয়সি কার্কের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.