Advertisement
Advertisement

শান্তি কাগজে-কলমেই! আফগান সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা তালিবানের

তবে কি ভেস্তে যাবে মার্কিন-তালিবান শান্তি চুক্তি?

Taliban to resume attacking local forces after deal with US
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 3, 2020 9:50 am
  • Updated:March 3, 2020 9:50 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রচুর ঢক্কানিনাদ করে দু’দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের তালিবান শক্তির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে আমেরিকা। ওই চুক্তি ও আলোচনার পূর্বশর্ত অনুযায়ী, মার্কিন সেনার উপর হামলা বন্ধ রেখেছিল তালিবান। চুক্তি হয়ে গিয়েছে। তালিবানও ফিরছে স্বমেজাজে। এবার আফগান সেনার বিরুদ্ধে আগের মতোই আক্রমণ চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা। তবে বিদেশি সেনার উপর হামলা হবে না বলে জানিয়েছেন তালিবানের মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শান্তি চুক্তির খেলাপ হলে ফের অভিযানের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের]

এদিকে, আফগানিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিজেদের ‘ব‌্যক্তিগত স্বার্থ’ সরিয়ে রেখে শান্তি আলোচনা এগিয়ে না নিলে ওই চুক্তি কোনও কাজে আসবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। বিদেশমন্ত্রী আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছেন, আফগান কর্তৃপক্ষের ভিতরের লোকই তালিবান-আমেরিকা শান্তি প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতে পারে। মাত্র দু’দিন আগেই কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে চুক্তিতে সাক্ষর করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে মার্কিন সেনা ফিরে আসবে আফগানিস্তান থেকে।

ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তালিবান যোদ্ধা মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদর । অন্যদিকে, আমেরিকার পক্ষে চুক্তিতে সই করেন জালমেয় খলিলজাদ। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আফগান সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর কথা জানিয়ে দিল তালিবান। মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ বলেছেন, “চুক্তির আগে আমরা হামলা কমিয়ে ফেলেছিলাম। আমাদের অভিযান আগের মতোই চলবে। তবে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মুজাহিদরা বিদেশি সেনার উপর আক্রমণ করবে না। তবে ৫ হাজার তালিবান বন্দিদের মুক্তি না দিলে এই চুক্তি মানা সম্ভব নয়। ” রবিবারই দোহা থেকে দেশে ফিরেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার শান্তি চুক্তির সময় তিনিও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “দ্রুত আলোচনা শুরু করতে হবে আফগান প্রশাসনের সঙ্গেও। ”

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে তালিবান বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া শান্তিচুক্তির পূর্বশর্ত ছিল না। চুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ হাজার তালিবান বন্দিকে ছাড়ার জল্পনা উড়িয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের আগে বন্দিদের ছাড়ার পূর্বশর্ত ছিল না, তবে সমঝোতার জন্য আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল। ফলে স্বাক্ষরিত হলেও মার্কিন-তালিবান শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

[আরও পড়ুন: সিরিয়ার সেনাঘাঁটিতে তুরস্কের ড্রোন হামলা, মৃত ২৬ জন জওয়ান]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

#US
Advertisement