Advertisement
Advertisement
Thailand

ফোনালাপ ফাঁস! আদালতের নির্দেশে গদিচ্যুত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাই প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ প্রকাশ্যে এসেছিল।

Thailand court removes Prime Minister Paetongtarn Shinawatra from office

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন শিনাওয়াত্রা।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:August 29, 2025 5:00 pm
  • Updated:August 29, 2025 5:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত্রু দেশের নেতার সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় সাসপেন্ড করা হয়েছিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন শিনাওয়াত্রা। সেই মামলায় এবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করা হল তাঁকে। কম্বোডিয়ার প্রাক্তন রাজনৈতিক নেতা হুন সেনের সঙ্গে ফোনালাপের জেরেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

দাংরেক পর্বতের উপরে অবস্থিত প্রিয়াহ ভিহিয়ার বা প্রিয়া বিহার শিবমন্দির। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমাও পেয়েছে এই মন্দির। এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে কয়েক দশক ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। যার জেরে মৃত্যু হয় দুই দেশের বহু সেনা ও নাগরিকের। এই সংঘাতের মাঝেই গত জুন মাসে একটি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শিনাওয়াত্রা সঙ্গে কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের ফোনালাপ প্রকাশ্যে আসে। সেখানে এই সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনা করতে শোনা যায় তাঁদের। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে হুন পদত্যাগ করলেও কম্বোডিয়ার সরকার তাঁর পরামর্শেই চলে।

প্রকাশ্যে আসা ওই ফোন কলে হুন সেনকে আঙ্কেল বলে সম্বোধন করতে শোনা যাচ্ছে শিনাওয়াত্রাকে। তিনি বলছেন, ‘কোনও রকম সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমাকে জানান।’ এমনকী নিজের দেশের সেনার সমালোচনা করতেও শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। সেই অডিও সামনে আসতেই বিতর্ক চরম আকার নেয়। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন সেখানকার বিরোধী দল। দায়ের হয় মামলা। এই মামলায় গত জুন মাসেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল শিনাওয়াত্রাকে। এবার থাইল্যান্ড আদালতে ৯ বিচারপতির বেঞ্চ দোষী সাব্যস্ত করে প্রধানমন্ত্রীকে। যার জেরে বরখাস্ত করা হয়েছে শিনাওয়াত্রাকে।

উল্লেখ্য, এই ত্রিভুজ অঞ্চলকে ২০০৮ সাল থেকে সমস্যার তীব্র আকার ধারণ করে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে। ইতিহাস বলছে, রাজা দ্বিতীয় উদয়াদিত্যবর্মণ এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। নবম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী কোনও সময়ে এই মন্দির বর্তমানে কম্বোডিয়ার ভূখণ্ডেই অবস্থিত। খেমার রাজত্বের এই মন্দির আসলে এক বিরাট মন্দির চত্বরের অংশ, যেখানে কমপক্ষে দুটি প্রাচীন মন্দির রয়েছে। যার অবস্থান প্রাচীন খেমার হাইওয়ের এক কৌশলগত গিরিপথে, যা কম্বোডিয়ার আঙ্কোর ভাটকে থাইল্যান্ডের ফিমাইয়ের সঙ্গে যুক্ত করে। কম্বোডিয়ার দাবি, খেমার রাজত্বের ঐতিহাসিক সীমান্তরেখার সীমান্তে এই মন্দির অবস্থিত। যার মধ্যে কম্বোডিয়াও রয়েছে, আংশিক ভাবে রয়েছে থাইল্যান্ডের ভূখণ্ডও। কিন্তু থাইল্যান্ডের ব্যাখ্যা, এটি সুরিন প্রদেশে অবস্থিত। আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত কম্বোডিয়াকেই মন্দিরের মালিকানা দিয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং দেবতার মন্দিরে বেড়েছে সৈনিকের আনাগোনা। গত ফেব্রুয়ারি থেকে দুই দেশের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর আমেরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হয়েছে দুই দেশের।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement