প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিগত কয়েকদিন ধরেই একের পর এক বোমা ফাটিয়েছে জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস। এরপর থেকে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে একটা কথা। জইশ কি পাকিস্তানের সেনার একেবারে ‘নয়নের মণি’ হয়ে উঠেছে? গত ৭ মে জইশের সদর দপ্তরে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। সেই হামলায় খতম হওয়া জইশ জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছিল পাক জওয়ান ও সেনা আধিকারিকদের। এবার এক ভাইরাল ভিডিওয় মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির মতো জঙ্গিকেও একথা বলতে শোনা গিয়েছে। এরপর থেকেই জল্পনা ক্রমে জোরাল হয়েছে।
শুদ্ধ উর্দুতে কথা বলতে শোনা গিয়েছে মাসুদকে। সে বলছিল, ”রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল যে ওই শহিদদের শেষ কুর্নিশ জানানো উচিত। এবং কর্প কমান্ডারকে তাদের শেষকৃত্যে অংশ নিতে হবে। বিমান বাহিনী তাদের শেষকৃত্যে পাহারা দেয়। ২৫ বছরের ধৈর্য, সাহস ও সংকল্পের ফল, যে পাকিস্তানের সরকার, সেনা, বায়ুসেনা ও নৌবাহিনীকে জেহাদের পথে আনতে পেরেছি। যারা শহিদ হয়েছে তা জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। পাক বায়ুসেনা এর বদলাও নিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের পর জঙ্গিদের শেষকৃত্যের একাধিক ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানে পাক জওয়ানদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তারপরই বিতর্ক তৈরি হয়। ফুঁসে ওঠে ভারত। এবার খোদ জইশ কমান্ডার পরোক্ষভাবে নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েছে যে সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তান।
স্বাভাবিক ভাবেই এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীর-সহ দেশের বহু অংশে যেভাবে জইশকে আত্মঘাতী হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে, যার মধ্যে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলা, ২০০১ সংসদ হামলা, ২০০২ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভায় হামলা এবং ২০১৬ সালের পাঠানকোট হামলার কথা উল্লেখ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.