Advertisement
Advertisement
Peter Navarro

‘এটা মোদির যুদ্ধ’, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুললেন হোয়াইট হাউস কর্তা

ভারতকে অহংকারী বলেও তোপ দেগেছেন তিনি।

This is Modi's war: Donald Trump aide Peter Navarro's bizarre logic on Ukraine conflict
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:August 28, 2025 10:09 am
  • Updated:August 28, 2025 10:09 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের জন্যই এখনও রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত চলছে। এটা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুদ্ধ। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা পিটার নাভারো। পাশাপাশি, ভারতকে অহংকারী বলেও তোপ দেগেছেন তিনি।

Advertisement

আমেরিকার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারতের মদতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। নয়াদিল্লি মস্কোর থেকে কম দামে জ্বালানি তেল কেনে। এর মাধ্যমে ভারত যুদ্ধ চালাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেই সাহায্য করছে।” তাঁর মতে, ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে গেলে ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা জরুরি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেটাই করেছেন। এরপরই পিটার বলেন, “এটা মোদির যুদ্ধ। ভারত চাইলেই শান্তি ফেরাতে পারে। রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করলে কালই ভারতের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক মুকুব করা হবে।” মোদি এবং ভারতকে আক্রমণ করে হোয়াইট হাউস কর্তা বলেন, “আমার এটাই বিরক্ত লাগছে যে ভারতীয়রা খুব অহংকারী। তারা বলছে, এটা আমাদের সার্বভৌমত্ব। যার কাছ থেকে ইচ্ছা আমরা তেল কিনতে পারি। আমি হতবাক। কারণ, মোদি একজন মহান নেতা। একটি পরিণত গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনে পুতিনের যুদ্ধের মেশিনে ঘি যোগাচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে ভারতে কার্যকর হয়েছে মার্কিন শুল্কনীতি। যার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে দেশীয় বাজারে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের পোশাক উৎপাদন ক্ষেত্রগুলি। জানা যাচ্ছে, শুল্ককোপে দেশের একাধিক বড় শহরে বস্ত্র উৎপাদন কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি এসসি রালহান বলেন, “বিপুল পরিমাণ এই শুল্ক চাপানোর জেরে তিরুপুর, নয়ডা, সুরাটের বস্ত্র উৎপাদন সংস্থাগুলি তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, অধিক শুল্কের জেরে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশের মতো প্রতিযোগীদের তুলনায় অনেকখানি পিছিয়ে পড়েছে তারা। বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা করছে মূল্যবান পাথর, গয়না, চিংড়ি, কার্পেট ও অন্যান্য আসবাবপত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও। ‘ট্রেড থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ’-এর অনুমান, ২০২৫-২৬ সালে আমেরিকায় ভারতের পণ্য রফতানি প্রায় ৪৩ শতাংশ কমে ৮৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪৯.৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ