সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লন্ডনের বুকে শনিবারের দুপুর ছিল অত্যন্ত ঘটনাবহুল। অতি দক্ষিণপন্থি নেতা টমি রবিনসনের নেতৃত্বে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিশাল মিছিল হয়েছে। টমির ডাকে প্রায় এক লাখ মানুষের জমায়েত হয় মধ্য লন্ডনে। পুলিশের অভিযোগ, এই জমায়েত থেকে বেশি কিছু পুলিশকর্মীকে আক্রমণ করা হয়।
রবিনসনের ডাকে এই মিছিলের নাম ছিল ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’। ব্রিটেনের বহু জায়গা থেকে ইউনিয়ন জ্যাক হাতে মিছিলে হাজির হন মানুষ। পুলিশের দাবি এই মিছিলে যোগ দিয়েছে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে এই মিছিলের কারণে মধ্য লন্ডনের বহু রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পরে। অনেকেই মনে করছেন টমির এই উত্থানকে ঢাকতে জমায়েতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে সরকার।
এক্স হ্যান্ডেলের বার্তায়, টমি এই মিছিলকে তাঁর সমর্থকদের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। নিজের ট্যুইটে সরকারের নিন্দা করে তাঁর দাবি, কর্তৃপক্ষ মানুষের এই বিপুল জমায়েতকে সাধারণ একটি মিছিল হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। টমি লিখেছেন, “আজকে বাকস্বাধীনতা উৎসবের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছে। মূলধারার মিডিয়া যারা সবকিছুই ছেপে দেয় তারা মিথ্যা বলছে।”
টমি রবিনসন, “ইউনাইট দ্য কিংডম” পদযাত্রাকে বাকস্বাধীনতার উদযাপন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এক সমর্থক মিছিল থেকে বলেন, “আমরা আমাদের দেশ ফেরত চাই। আমরা আমাদের বাকস্বাধীনতা ফেরত চাই। সরকারকে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে হবে। টমির উপরে আমাদের ভরসা আছে।” এই মিছিল থেকে রক্ষণশীল চার্লি কার্কের সাম্প্রতিক মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করা হয়। বেশ কিছু সমর্থক এই মিছিলে মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন লেখা টুপি পরেও হাঁটেন। প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের বিরুদ্ধে স্লোগান শোনা যায় এই মিছিলে।
অন্যদিকে, রবিনসনের মিছিলের পাল্টা জমায়েতও হয় লন্ডনে। অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট সেই মিছিলে প্রায় ৫০০০ মানুষের জমায়েত হয় বলে জানা গিয়েছে। দুই মিছিলের মধ্যে বিক্ষিপ্ত হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মেট্রোপলিটন পুলিশকে বার বার দুই মিছিলের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে ব্যবস্থা নিতে হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.