সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের অপারেশন সিঁদুর বিশ্ব মঞ্চে মুখ পুড়িয়েছে পাকিস্তানের। এই অবস্থায় মাত্র কয়েকমাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসতে চলেছে আমেরিকা এবং পাকিস্তান। বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্য জট কাটাতে ভারতের উপর চাপ বাড়াতে এই কৌশল নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, আগামি সপ্তাহে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার বৈঠকের ফাঁকেই ২৫ সেপ্টেম্বর এই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বন্যা থেকে শুরু করে কাতারের উপর ইজরায়েলি হামলা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলচনার সম্ভাবনা রয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। এই উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদের মধ্যে কূটনৈতিক সমস্যার সমাধানের সুযোগ খোঁজা হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
যদিও, ইন্টার-সার্ভিসেস জনসংযোগ দপ্তর অথবা ওয়াশিংটনের পাক দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই সফর সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে আসিম মুনিরের পরপর দুটি ওয়াশিংটন সফরের পর এই খবর জানা গিয়েছে।
অপারেশন সিঁদুরের পরে দুই দেশের সংঘাত বন্ধের কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। যদিও সেই দাবি নস্যাৎ করে দেয় ভারত। অন্যদিকে আসিম মুনিরের মার্কিন সফরের সময় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রসংসা করে তাঁকে নোবেল দেওয়ার জন্য সওয়াল করা হয়। অন্যদিকে, শুল্ক যুদ্ধের মুখে দুরত্ব তৈরি হয় ওয়াশিংটন এবং নয়াদিল্লির। তিয়ানজিনে এসসিও বৈঠকের মঞ্চে ভারত-রাশিয়া-চিনের বন্ধুত্বের ছবি যে ট্রাম্পের উপরে চাপ তৈরি করেছে তা পরিস্কার করে দিচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে বারবার বৈঠক। ভারতের বাজার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় পাক বাজারের দিকে হাত বাড়িয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি, পাকিস্তানে ৫০০ মিলিয়ান ডলার বিনিয়োগ করেছে আমেরিকা। এই আবহে আমেরিকা এবং পাকিস্তানের এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে নজর থাকবে উপমহাদেশের রাজনৈতিক মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.