Advertisement
Advertisement
Ukraine

ইউক্রেনের হামলায় দাউদাউ করে জ্বলছে ক্রাইমিয়ার তেলভাণ্ডার! যুদ্ধে কোণঠাসা রুশ ফৌজ?

তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ জারি রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে।

Ukraine hits largest oil terminal in Russian-occupied Crimea
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:October 7, 2025 6:34 pm
  • Updated:October 7, 2025 6:34 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সংঘর্ষবিরতিতো দূর, যত দিন যাচ্ছে যুদ্ধের রূপ ততই ভয়ংকর হচ্ছে। এই আবহে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্রাইমিয়ার তেলভাণ্ডারে ভয়ংকর হামলা চালাল ইউক্রেনের সেনা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও বেশ কিছু ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হামলার জেরে দাউ দাউ করে জ্বলছে তেলভাণ্ডার। এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠছে, যুদ্ধে কি তাহলে এবার কোণঠাসা হচ্ছে রুশ ফৌজ? 

Advertisement

ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, ক্রাইমিয়ার যে এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে রুশ সেনা অস্ত্র প্রস্তুত করত। তৈরি হত মারণ মিসাইল এবং বোমা। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধেই আমাদের এই অভিযান ছিল। সূত্রের খবর, শতাধিক ড্রোন নিয়ে এদিন ক্রাইমিয়ায় হামলা চালায় ইউক্রেনের সেনা। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দাবি করেছে, রাতভর তাঁরা ইউক্রেনের মোট ২৫১টি ড্রোন নামিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখল করেছিল মাস্কো। সেখান থেকেই যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে তেল সরবরাহ করা হত। সেখানেই হামলা চালিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বড়সড় অস্বস্তিতে ফেলল ইউক্রেন। তবে ক্রাইমিয়ার মাটিতে ইউক্রেনের হামলা এই প্রথম নয়। ২০২৪ সালে সেখানকার তেলের ভাণ্ডারে হামলা চালিয়েছিল ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ।  

উল্লেখ্য, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ জারি রয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার ইউক্রেনের আকাশে দেখা মেলে রুশ রণতরীর। সেই শুরু। হামলা ও পালটা হামলায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে দুই দেশে। চলতি বছরের জুন মাসে রাশিয়ার মাটিতে অপারেশন স্পাইডারওয়েব চালায় ইউক্রেন। শতাধিক ড্রোন নিয়ে হামলা চালানো হয় পুতিনের দেশে। এরপর আক্রমণ ও পালটা আক্রমণে রক্তাক্ত হয়েছে দু’দেশই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধ থামাতে চেষ্টা করলেও বিশেষ সমাধানের রাস্তা বের হয়নি। এই অবস্থায় শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্পের সঙ্গে ফের দেখা করতে চলেছেন জেলেনস্কি। তাঁর দাবি, ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তার গ্যারান্টি ও রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার জারির বিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি। কিয়েভের দাবি, যদি রাশিয়া যুদ্ধবিরতির পথে না হাঁটে সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। এই পরিস্থিতি ক্রাইমিয়ার তেলভাণ্ডারে হামলা চালিয়ে রাশিয়াকে বড়সড় অস্বস্তিতে ফেলল ইউক্রেন। প্রশ্ন উঠছে, তিন বছর ব্যাপী চলা যুদ্ধে তাহলে কি পিছিয়ে পড়ছে রুশ ফৌজ? উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ