সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যখাতে মানবিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সিদ্ধান্তের পরেই বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য-সহ নানা খাতে বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
ট্রাম্পের ঘোষণার মাত্র ছ’মাসের মধ্যেই ১২টি অলাভজনক ক্লিনিক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই ১২ ক্লিনিকে প্রায় ৬৩০০০ এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলত। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের জেরে দেশজুড়ে বেড়েছে ওষুধের দাম। ফলে প্রায় ২,২০০০০ রোগী এইচআইভির ওষুধ কিনতে পারছেন না।
ট্রাম্প প্রশাসন ৪২৭ মিলিয়ন ডলার তহবিল কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় এই বছরের শুরুতে। এর সপক্ষে যুক্তি দিয়ে আমেরিকা বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণের কারণে এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। তাই অলাভজনক ক্লিনিকগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছেন সমকামী এবং যৌনকর্মীরা। মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওষুধের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। যদিও ওয়াশিংটন পরে কিছু এইচআইভি পরিষেবা পুনরায় চালু করার জন্য সীমিত মাত্রায় ছাড় দেয়। কিন্তু প্রাথমিক কাটছাঁটের ফলে যে পরিমাণ চাপ পড়ে, তাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিপুল অর্থ এই সহায়তার ক্ষেত্রে কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে এইচআইভির সঙ্গে লড়াইয়ে চাপ বাড়ছে দেশগুলির।
এইচআইভির বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রাম আসলে সাব-সাহারান আফ্রিকা জুড়ে বিস্তৃত এক সমস্যা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। এই সম্পূর্ণ অঞ্চল এখনও বিদেশি স্বাস্থ্য তহবিলের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। দক্ষিণ আফ্রিকার ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত। এটি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় পাঁচভাগের একভাগ। আমেরিকা অনুদান কমানোয় এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়বে। যদিও, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার জানিয়েছে আমেরিকার ৪২৭ মিলিয়ন ডলার অনুদান বন্ধ করলেও তারা এইচআইভির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.