সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে (Myanmar) আরও জটিল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। এবার ইয়াঙ্গন-সহ বেশ কয়েকটি শহরে ঢুকে পড়েছে বার্মিজ সেনার সাঁজোয়া বাহিনী। ট্যাংক ও সামরিক ট্রাকের আওয়াজে রীতিমতো কেঁপে উঠেছে নাগরিকদের বুক। এহেন পরিস্থিতিতে সে দেশে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলেছে আমেরিকা।
এক বিবৃতি জারি করে মায়ানমারের মার্কিন দূতাবাস বলেছে, “ইয়াঙ্গন-সহ বেশ কয়েকটি শহরে বার্মিজ সেনার কার্যকলাপ বেড়ে গিয়েছে। সেখানে তাদের সাঁজোয়া বাহিনী ঢুকে পড়েছে। ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই সমস্ত নাগরিকদের কাছে আমাদের আরজি, আপনারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। কারফিউ চলাকালীন বাড়ি থেকে বের হবেন না।” সেনা মোতায়েনের শুরুর দিকে ইয়াঙ্গন থেকে মায়ানমারের মানবাধিকার কর্মী ওয়াই ওয়াই নু একটি টুইট করে সাঁজোয়া বাহিনীর গতিবিধি তুলে ধরেন। মনে করা হচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের শায়েস্তা করতে বড়সড় অভিযানের পরিকল্পনা করেছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। তাই গণতন্ত্রকামী প্রতিবাদীদের গ্রেপ্তার করতে শহরগুলিতে প্রবেশ করেছে সৈনিকরা।
উল্লেখ্য, মায়ানমারে সামরিক বুটের তলায় পিষ্ট গণতন্ত্র। জনতার সরকার উপড়ে ফেলে মসনদে বসেছে সেনাবাহিনী। বন্দি জনপ্রিয় নেত্রী আং সাং সু কি ও তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগীরা। সেনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ। এহেন পরিস্থিতিতে দেশটির সেনাবাহিনীর উপর চাপ সৃষ্টি করে কয়েকদিন আগেই আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা (America)। হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে ‘টাটমাডাও’ বা বার্মিজ সেনার একাধিক কর্তা ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। এর ফলে আমেরিকায় তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হবে। একইসঙ্গে, মায়ানমারে স্বাস্থ্য ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরঞ্জাম ছাড়া অন্য পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করতে পারে ওয়াশিংটন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.