সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য ভিসা ইন্টারভিউ বন্ধ করে দিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আপাতত সোশাল মিডিয়ার কার্যকলাপের উপর কড়া নজরদারি চলবে। তাই পড়ুয়া এবং এক্সচেঞ্জ পড়ুয়াদের ভিসা দেওয়া আপাতত বন্ধ থাকবে। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি পড়ুয়াদের ‘তাড়ানো’র সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এবার সব শিক্ষাক্ষেত্রের বিদেশি পড়ুয়াদের উপরেই কড়াকড়ি হচ্ছে।
মঙ্গলবার মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফে বলা হয়, আপাতত এফ, এম এবং জে ভিসার আবেদনপত্রের ইন্টারভিউ স্থগিত রাখা হবে। এই ভিসাগুলি মূলত পড়ুয়াদের জন্যই। বিশ্বের সমস্ত মার্কিন কনসুলেটকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ভিসার আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেওয়া যাবে না। কারণ আবেদনকারীদের সোশাল মিডিয়া খুঁটিয়ে দেখা হবে। তাঁদের কোনও পোস্ট আমেরিকার জাতীয় স্বার্থের জন্য বিপজ্জনক কিনা, সেটাও বিবেচনা করবে মার্কিন প্রশাসন।
বিদেশ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানান, “আমরা তো নজরদারি করব। আমাদের হাতে যা কিছু প্রযুক্তি আছে, সমস্ত কিছু ব্যবহার করে বিচার করা হবে ভিসার আবেদনপত্র। পড়ুয়া হোক বা অন্য কেউ, তাদের মধ্যে কোনও অপরাধপ্রবণতা নেই সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যতদিনের জন্যই আমেরিকার ভিসা নেওয়া হোক না কেন, এই পরীক্ষার মধ্য পড়তে হবেই। আশা করি, কাদের আমেরিকায় প্রবেশের যোগ্যতা রয়েছে সেটা আমরা এই নজরদারি থেকে বুঝতে পারব।”
বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে আর্থিক দিক থেকে অনেকখানি দুর্বল করে দেবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। কারণ বিদেশি পড়ুয়াদের থেকে বিরাট অঙ্কের আয় করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। ২০২৩-২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৪৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি আয় হয় আমেরিকায় পড়তে আসা বিদেশিদের থেকে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমেরিকায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। সেই সময়ে যদি বিদেশি পড়ুয়ারা ভিসা না পান, তাহলে বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলে মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.