Advertisement
Advertisement
US

সাফল্য না ছাই! ইরানে হামলা চালিয়ে আদতে কিচ্ছু লাভ হয়নি, বলছে খোদ মার্কিন রিপোর্ট

মানতে নারাজ ট্রাম্প।

US intel report says strikes on Iran only delayed nuke mission
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:June 25, 2025 9:18 am
  • Updated:June 25, 2025 10:11 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরমাণু ঘাঁটির সঙ্গেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ইরানের পরমাণু বোমার স্বপ্ন। ইরানের তিন পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলার পর এমনটাই দাবি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে খোদ মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, ইরানের মাটিতে হামলা চালিয়ে কিছুই লাভ হয়নি আমেরিকার। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে। মুখ খুলেছে খোদ হোয়াইট হাউস।

মার্কিন গুপ্তচর বিভাগের দুই কর্তার বয়ান অনুযায়ী, আমেরিকার হামলায় ইরানের পরমাণু ঘাঁটি ধ্বংস হয়নি। বড়জোর কয়েক মাসের জন্য তাদের পারমাণবিক কার্যকলাপ পিছিয়ে যেতে পারে। এর বেশি কিছু নয়। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটাই দাবি করেছেন পেন্টাগনের দুই কর্তা। এক আধিকারিক বলেন, ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা চালাতেও তাদের ইউরেনিয়াম ভাণ্ডার এখনও সুরক্ষিত। পারমাণু কার্যকলাপে ব্যবহৃত সেন্ট্রিফিউজও সুরক্ষিত। এই হামলায় লাভ যদি কিছু হয়ে থাকে তা হল, ইরানের পারমাণবিক কার্যকলাপ কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে যাবে মাত্র। রয়টর্সের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন হামলার আগেই ইরান তাদের সমস্ত ইউরেনিয়াম পারমাণবিক ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।

এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, হামলার পর পেন্টাগনের তরফে একাধিক ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই স্পষ্ট যে ফরদোতে হামলা চালানো হলেও তাতে বিশেষ ক্ষতি হয়নি। এই কেন্দ্র জাগ্রোস পর্বতমালার ৪৫ থেকে ৯০ মিটার অর্থাৎ ১৫০ থেকে ৩০০ ফুট নিচে অবস্থিত। চলতি বছরের শুরুতেই ফরদোর ভৌগলিক অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল পেন্টাগন। যেখানে দাবি করা হয়, ৩০ হাজার পাউন্ডের GBU-57 বাঙ্কার ব্লাস্টার দিয়েও এই ঘাঁটি ধ্বংস করা যাবে না।

তবে এই দাবি একেবারেই মানতে নারাজ হোয়াইট হাউস। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চরম আকার নিতেই হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই ধরনের বক্তব্যের অর্থ হল রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপমান। যে সাহসি পাইলটরা ইরানে ঢুকে হামলা চালাল তাঁদের অপমানের প্রচেষ্টা। এরা সকলেই ইরানের পরমাণু ঘাঁটি পুরোপুরি ধ্বংস করার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন।’ পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, ‘এটা কারও জানতে বাকি নেই যে ৩০ হাজার পাউন্ডের বোমায় যদি কোথাও হামলা চালানো হয় তাহলে সেই জায়গার কী অবস্থা হয়।’

মঙ্গলবার আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভান্স মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসিকে জানান, ইরানের তিনটি পারমণুকেন্দ্রে ছয়টি ‘বাঙ্কার বাস্টার’ নিক্ষেপের পর থেকেই নিখোঁজ ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম। উল্লেখ্য, যুদ্ধের আগেই জানা গিয়েছিল, ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে ইরান। ৯০ শতাংশ হলেই আণবিক অস্ত্র তৈরি সম্ভব। এই অশঙ্কাতেই ইজরায়েল ও আমেরিকা যৌথভাবে হামলা চালায় আয়াতুল্লা আলি খামেনেইয়ের দেশে। মার্কিন হামলার দু’দিন আগে ইরানের পরমাণুকেন্দ্রেগুলিতে সারি সারি ট্রাক দেখা গিয়েছিল। প্রকাশ্যে এসেছিল ফোরডো পরমাণুকেন্দ্রের একাধিক উপগ্রহচিত্র। ১৯ জুনের ওই ছবিতে ১৬টি মালবাহী ট্রাক দেখা গিয়েছিল। তখনই জল্পনা ছড়ায়, মার্কিন বোমারু বিমানের হামলার আগেই প্রয়োজনীয় পরমাণু সরাঞ্জাম গোপন আস্তানায় সরিয়ে ফেলেছে ইরান। শুধু তাই নয়, মার্কিন হামলার পর ফরদোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন করতে আরও একদফা হামলা চালায় ইজরায়েলও।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement