Advertisement
Advertisement
চিন-আমেরিকা

লালফৌজের সঙ্গে জড়িত পড়ুয়া, গবেষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে আমেরিকা   

চ্যালেঞ্জের মুখে 'আঙ্কেল স্যাম'-এর সাম্রাজ্য। 

US mulls law against students, researchers connected with PLA
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 17, 2019 2:52 pm
  • Updated:May 17, 2019 2:52 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হ্যাপসবার্গ, অটোমান থেকে শুরু করে রোমানভ শাসনকাল। কালের নিয়মে খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে গিয়েছে বহু সাম্রাজ্য।একাধিকবার পালটেছে বিশ্বের রাজনৈতিক মানচিত্র। একইভাবে নিয়ম মেনে এবার চ্যালেঞ্জের মুখে ‘আঙ্কেল স্যাম’-এর সাম্রাজ্য। বলা ভাল ‘অর্থনৈতিক’ ও কৌশলগত এম্পায়ার’। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মার্কিন আধিপত্যকে সরাসরি চোখ রাঙাচ্ছে কমিউনিস্ট চিন। দুই মহাশক্তির সংঘাতে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে বিশ্বে। এহেন পরিস্থিতে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে নয়া পদক্ষেপ করল ওয়াশিংটন।

Advertisement

[ঘুঙুরের শব্দ, শোনা যাচ্ছে হারমোনিয়ামের সুর, স্ট্রংরুমে ভূতের ভয়ে কাঁটা ভোটকর্মীরা]

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ বা লালফৌজের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলির একটি তালিকা তৈরি করতে চলেছে ওয়াশিংটন। সম্প্রতি এই ব্যাপারে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং সেনেটে বিরোধী দুই পক্ষের সদস্যরা একটি বিলের প্রস্তাব দিয়েছেন। ওই বিলে বলা হয়েছ, লালফৌজের অর্থসাহায্য নিয়ে আসা পড়ুয়া বা চিনা সেনার চাকরিতে নিযুক্ত গবেষকদের আর মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না। কংগ্রেস সদস্যদের অভিযোগ, পিএলএ-র বিজ্ঞানীরা এমন আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন যার সামরিকীকরণ হতে পারে। সেনেটরদের হিসেব অনুযায়ী, গত এক দশকে পিএলএ ২৫০০-র বেশি সামরিক ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানীকে পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছে। এঁরা যে পিএলএ-র সঙ্গে জড়িত, তা অনেকক্ষেত্রেই প্রকাশ পায়নি। কংগ্রেস সদস্য মাইক গলাহার বলেছেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পিএলএ হাজার হাজার বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ারকে সংবেদনশীল গবেষণার জন্য অর্থসাহায্য করেছে। গবেষণার বিষয়গুলি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তায় আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না, তা আমরা জোর দিয়ে বলতে পারছি না।’’                      

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে,  বিদেশি বিশেষ করে মার্কিন প্রযুক্তি হাতানোর অভিযোগ বহুদিন ধরেই রয়েছে চিনের বিরুদ্ধে। ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’, সহজ ভাষায় কোনও যন্ত্রের কলকবজা খুলে তাঁর প্রযুক্তি হস্তগত করে নেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে চিনই। রুশ সমরাস্ত্র ক্রয় করে একাধিকবার এই কাজ করেছে চিন। ফলে লালফৌজের সঙ্গে জড়িত পড়ুয়া ও গবেষকদের উপর কড়া নজর রেখেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।      

[ইসলামের ‘অবমাননা’ করায় মৃত্যুদণ্ড, পাকিস্তানি যুগলের ত্রাতা আসিয়ার আইনজীবী]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ