Advertisement
Advertisement

দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ‘দাদাগিরি’ রুখতে তুরুপের তাস খেললেন ট্রাম্প

দিলেন মোক্ষম চাল!

US planning more regular South China Sea patrols
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 2, 2017 2:37 pm
  • Updated:September 29, 2019 7:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে মোক্ষম চাল! চিনের বিরোধিতা উড়িয়ে বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে আরও ব্যাপক মহড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিল আমেরিকা। পেন্টাগন সূত্রে খবর, এবার থেকে প্রতি দুই বা তিন মাস অন্তর ওই বিতর্কিত জলসীমায় ব্যাপক আকারের মহড়া ও নজরদারি চলবে। মুখে না বললেও পেন্টাগনের আচরণে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, বাণিজ্যের নিরিখে মহাগুরুত্বপূর্ণ ওই জলপথে চিনের দাদাগিরি মানবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement
বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন রণতরী
বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন রণতরী

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর খবর মোতাবেক, বারাক ওবামার আমলে প্রশাসনিক ঢিলেমির জন্যই আজ দক্ষিণ চিন সাগরে দাদাগিরি চালাচ্ছে চিন। ওই জলরাশিকে বারবার নিজেদের সীমান্ত বলে দাবি করে এসেছে বেজিং। কিন্তু আন্তর্জাতিক আদালত চিনের ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। তাতেও দমানো যায়নি লালফৌজকে। তাই এবার ইটের জবাব পাটকেলেই দিতে চান ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার নয়া ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবে মার্কিন বায়ুসেনা যেভাবে কোরিয়ার সীমান্তে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে, এবার অনেকটা সেই ধাঁচেই মার্কিন নৌসেনার ‘ফ্রিডম অফ নেভিগেশন’ টিম টহল দেবে ওই বিতর্কিত জলসীমায়। চিনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ মানতে পারছেন না ট্রাম্প। বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাব আন্তর্জাতিক মহলেও সমালোচিত হয়েছে। চিনের দখলদারি মানতে নারাজ ফিলিপাইন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই-এর মতো ‘আসিয়ান’ দেশগুলি। এমনকী, তাইওয়ানও। ভারত প্রথম থেকেই এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার পক্ষে।

কয়েকদিন আগেই উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে যেভাবে সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে মার্কিন সেনা
কয়েকদিন আগেই উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে যেভাবে সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে মার্কিন সেনা

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানাচ্ছে, ওই বিশেষ টিমে মার্কিন সেনার একেবারে শীর্ষ ও দক্ষ অফিসাররা থাকবেন। চিন যে জলপথকে নিজেদের বলে দাবি করে, সেখানেই টহল দেবে মার্কিন নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ। থাকবে মার্কিন যুদ্ধবিমানও। ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা কিন্তু একেবারে নতুন নয়। হোয়াইট হাউসে বসার পর থেকে তিনি এরকম তিনটি ‘ফ্রিডম অফ নেভিগেশন’ টিম বানিয়েছেন। যার মধ্যে সম্প্রতি ইউএসএস জন এস ম্যাকেইন নামের ডেস্ট্রয়ারটি সিঙ্গাপুরে টহল দেওয়ার একটি পণ্যবাহী জাহাজের সঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়লে ১০ জন মারা যান। কিন্তু ওই দুর্ঘটনা কোনওমতেই ট্রাম্পকে নিরস্ত করতে পারেনি। দক্ষিণ চিন সাগরের প্রায় পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করেছে বেজিং। ওই জলপথ দিয়ে বার্ষিক অন্তত ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের তেলবাহী জাহাজ যাতায়াত করে। ওই এলাকাকে নিজেদের দখলে রাখতে চিন সেখানে কৃত্রিম দ্বীপও বানিয়ে ফেলেছে বলে জানতে পারেন মার্কিন গোয়েন্দারা। দ্বীপেই বসানো হয়েছে জাহাজ ধ্বংস করতে পারে এমন কামান, মিসাইল সিস্টেম।

সদা জাগ্রত মার্কিন সেনা...
সদা জাগ্রত মার্কিন সেনা…

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement