Advertisement
Advertisement
Thailand and Cambodia

‘যুদ্ধবিরতিতে রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া’, ঘোষণা ট্রাম্পের! উঠছে ভারত-পাক প্রসঙ্গও

ট্রুথ সোশাল পোস্টে ঘোষণা 'শান্তির দূত' মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

US President Donald Trump announced leaders of Thailand and Cambodia have agreed to meet immediately to negotiate a ceasefire

ফাইল ছবি।

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:July 27, 2025 9:10 am
  • Updated:July 27, 2025 9:23 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি থামিয়ে দিয়েছেন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ। দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রুথ সোশাল পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইয়ের কথা হয়েছে। দুই পক্ষই দ্রুত যুদ্ধবিরতি ও শান্তির পক্ষে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বলেই দাবি তাঁর।

Advertisement

ঠিক কী লিখেছেন ট্রাম্প? ভারতীয় সময় রবিবার সকাল ৭টা ২৩ মিনিট নাগাদ তাঁকে লিখতে দেখা যায়, ‘কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খুব ভালো কথা হল আমার। আমি ওঁকে থাইল্যান্ড ও সেখানকার কার্যকরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া কথোপকথনের বিষয়টি জানিয়েছি। দুই পক্ষই দ্রুত যুদ্ধবিরতি ও শান্তির পথ খুঁজছি। তারা আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যের টেবিলে ফেরার কথাও ভাবছে, যা আমরা মনে করছি যুদ্ধ থামা না পর্যন্ত অসম্ভব। ওরা দ্রুত সাক্ষাৎ ও তাড়াতাড়ি যুদ্ধবিরতি এবং শেষপর্যন্ত শান্তির দিকে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। দুই দেশের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আমি সম্মানিত। দুই দেশেরই এক দীর্ঘ ইতিহাস ও সংস্কৃতি রয়েছে। সব ঠিক হয়ে গেলে এবং শান্তি ফিরলে আমরা আবার ওদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করব।’

সম্প্রতি স্কটল্যান্ড সফরে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে সেখান থেকে ফিরে এসে আগেই সোশাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছিলেন, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘটাতে তিনি চেষ্টা করছেন। 

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষের জেরে কার্যত রক্তস্রোত বইছে ম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে। তিনদিন গোলাবর্ষণের পর অবশেষে শনিবার থাইল্যান্ডের কাছে যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানাল কম্বোডিয়া। যদিও সে প্রস্তাব কানে তোলেনি থাইল্যান্ড। এই সংঘর্ষের কারণ ‘এমারেলড ত্রিকোণে’ অবস্থিত একটি শিবমন্দির। দুই দেশই ওই মন্দির ও সংলগ্ন এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে। ওই মন্দিরগুলিকে নিয়ে সংবেদনশীল তিন দেশের সাধারণ মানুষেরা। এলাকাটির দখল নিয়ে বছর পনেরো আগেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে। নতুন করে গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে সীমান্ত অঞ্চলে গোলাগুলি চলে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে। এরপরেই এফ ১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে কম্বোডিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালায় থাই সেনা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ