Advertisement
Advertisement
Donald Trump

‘আমি জানি না’, ইজরায়েলকে একা ফেলে কাতার হামলার দায় এড়ালেন ট্রাম্প

ট্রাম্প বলেন, 'এই হামলা চালানোর আগে তাঁর অনুমতি নেওয়া হয়নি।'

US president Donald Trump distances himself from Israeli strikes in Qata
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 10, 2025 1:14 pm
  • Updated:September 10, 2025 7:24 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে না জানিয়ে এক পা নড়েন না ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই নেতানিয়াহু কিনা ট্রাম্পকে অন্ধকারে রেখে হামলা চালালেন কাতারে! দোহাতে ইজরায়েল এয়ার স্ট্রাইকের দায় পুরোপুরি নেতানিয়াহুর ঘাড়ে চাপিয়ে ট্রাম্প জানালেন, তিনি কিছু জানেন না। নেতানিয়াহুর নির্দেশেই এই হামলা চলেছে।

Advertisement

হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠেপড়ে নেমেছে ইজরায়েল। গাজা যুদ্ধ শুরু পর গোপন অভিযানে একের পর এক শীর্ষ হামাস নেতাকে খতম করা হয়েছে। প্রাণে বাঁচতে ইরান ও কাতারে আশ্রয় নিয়েছে বহু হামাস নেতা। হামাসের ‘মৃত্যুদূত’ হয়ে পূর্বে ইরানে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। এবার অভিযান চলল আমেরিকার ‘পরম মিত্র’ কাতারেও। রবিবার দোহার একাধিক স্থানে গোলাবর্ষণ করা হয়। এই অভিযানে হতাহতের তথ্য এখনও সামনে আসেনি। ইজরায়েলের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘হামাসের উচ্চপদস্থ নেতাদের খতম করতে আইডিএফ এবং ইজরায়েল সিকিউরিটি এজেন্সি (আইএসএ) দোহায় অভিযান চালিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে, হামাসের এই সদস্যরা সন্ত্রাসী সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে নৃশংস গণহত্যার জন্য তারা সরাসরি দায়ী। পাশাপাশি, ইজরায়েলর বিরুদ্ধে তারা যুদ্ধ জারি রেখেছে।’ এদিকে হামলার তীব্র বিরোধিতা করেছে কাতার। জানানো হয়েছে, ‘ইজরায়েলের এই হামলা কাপুরুষতার পরিচয়। তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।’

এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কী হামলার পিছনে মার্কিন মদত রয়েছে? বিতর্ক চরম আকার নিতেই ট্রাম্প জানালেন, ‘কাতার সার্বভৌম দেশ ও আমেরিকার বন্ধু। সেখানে একতরফা হামলা চালানো হয়েছে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘এই হামলা চালানোর আগে তাঁর অনুমতি নেওয়া হয়নি। পরে বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কাতারকে বিষয়টি জানানোর। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’ তবে হামাসকে শেষ করার যে লক্ষ্য ইজরায়েল নিয়েছে তাকে সমর্থন করেন ট্রাম্প এবং বলেন, ‘এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনিও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান। আমি মনে করি এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা শান্তি ফেরানোর একটা সুযোগ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।’

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ