ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব শান্তির দূত নিজেকে হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার পথে ট্রাম্পের সামনে প্রধান বাধা রাশিয়া। দীর্ঘ চেষ্টার পরও এখনও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে রিপাবলিকান সাংসদদের রাগ গিয়ে পড়ল ভারত, চিন, ব্রাজিলের মতো দেশগুলির উপর। অভিযোগ তোলা হল, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের যুদ্ধের মেশিনে তেল যোগাচ্ছে এই দেশগুলি। ফলে এদের উপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হোক।
বর্তমানে নিজ দেশের চাহিদা মেটাতে রাশিয়ার ৭০ শতাংশ জ্বালানি তেল কেনে ভারত ও চিন। এই জ্বালানি তেল ও গ্যাসের বড় গ্রাহক ব্রাজিল-সহ আরও একাধিক দেশ। মার্কিন সাংসদরা মনে করছেন, ভারত ও চিনের এই জ্বালানি তেল কেনা রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনের ‘ব্যাক বোন’ হিসেবে কাজ করছে। ফলে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে গেলে এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা জরুরি। এ প্রসঙ্গে রিপাকলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ও রিচার্ড ব্লু মেন্থাল মার্কিন সংসদে এক বিলও পেশ করেছেন। যেখানে দাবি করা হয়েছে, যে দেশগুলি রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে তাদের উপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হোক। জানা যাচ্ছে, আগামী আগস্ট মাসে এই বিল সেনেটে পেশ করা হবে। ইতিমধ্যেই ৮৪ শতাংশ সমর্থন পাওয়া গিয়েছে বিলটির পক্ষে।
বিলটিকে পুতিনের মতো অপরাধীর বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের উপযুক্ত পথ বলে উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন রিপাকলিকান সেনেটর রিচার্ড ব্লু মেন্থাল। তিনি লেখেন, ‘এর মাধ্যমে ভারত, চিন ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলিকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করার জন্য কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, মার্কিন সেনেটরের এহেন বার্তা এমন সময়ে এল যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, “ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামানো নিয়ে রাশিয়াকে অনেকদিন ধরে বলা হচ্ছে। আগামী ৫০ দিনের মধ্যে পুতিন যদি সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি না হয়, তাহলে রাশিয়ার উপর আরও চড়া হারে শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা।” এই শুল্কের পরিমাণ ১০০ শতাংশ হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় ক্ষমতায় আসার পরই রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তৎপর হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দু’একবার পুতিনের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা হলেও এ বিষয়ে খুব একটা সাফল্য মেলেনি আমেরিকার। নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে এই যুদ্ধ থামানোই ট্রাম্পের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই যে কোনওভাবে ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনতেই কোমর বেঁধে নেমেছে আমেরিকা। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়ে রাশিয়া ও তাদের সঙ্গে বাণিজ্যকারী দেশগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করতেই ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.