ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত (India) সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে চিন। এহেন পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাইছে আমেরিকা। এই প্রসঙ্গে আলোচনায় বসেন দুই দেশের আধিকারিক। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একে অপরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে দুই দেশ। যুদ্ধাস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রেও একসঙ্গে কাজ করবে ভারত ও আমেরিকা (USA)। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নয়া মোড় আনতে সিইটি বা ক্রিটিকাল অ্যান্ড টেকনোলজি নামে নয়া প্রকল্প শুরু করতে চলেছে দুই দেশ।
দু’দিনের জন্য আলোচনায় বসেছিলেন ভারত ও আমেরিকার আধিকারিকরা। তারপরেই হোয়াইট হাউসের তরফে জানান হয়, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে একসঙ্গে প্রস্তুতি নেবে দুই দেশের সেনা। তাছাড়াও জেট ইঞ্জিন, সামরিক অস্ত্র বানানোর ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বজায় রাখবে দুই দেশ। হোয়াইট হাউসের সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভারতের মাটিতে দেশীয় সংস্থার সঙ্গে মিলে জেট ইঞ্জিন তৈরির জন্য আবেদন করেছে একটি মার্কিন সংস্থা।
জানা গিয়েছে, ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব ক্যাথলিন হিকস বার্তা দিয়ে বলেছেন, নানা দেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। তার কারণ বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই সময়ে সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২২ সাল থেকেই এই বিষয়ে জোর দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
তাইওয়ান (Taiwan) প্রসঙ্গে একাধিকবার চিনের (China) সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে আমেরিকা। অন্যদিকে ভারতের সীমান্ত এলাকায় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চিন। নাম না করে চিনের বিরুদ্ধেই সজাগ থাকতে চাইছে ভারত ও আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতেই সিইটি শুরু করতে চলেছে দুই দেশ। সামরিক ক্ষেত্র ছাড়াও গোয়েন্দা বিভাগের উন্নতিতে একসঙ্গে কাজ করবে দুই দেশ। আমেরিকার মুখপাত্রকে জিজ্ঞাসা করা হয়, চিনের প্রতি সতর্কতা থেকেই কি এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে? উত্তর হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, কোনও নির্দিষ্ট দেশের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ নয়। দুই বন্ধু দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতিতেই এই পদক্ষেপ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.