সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোবেল হাতছাড়া হওয়ার ক্ষতে প্রলেপ! বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই উৎসর্গ করলেন প্রাপক মারিয়া করিনা মাচাদো। মারিয়াকে নোবেল কমিটি শান্তি পুরস্কারের জন্য বেছে নিয়েছে মূলত একনায়কতন্ত্র থেকে ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অনুদানের জন্য। মারিয়া নিজেই বলছেন, তাঁর এই লড়াইয়ে তিনি সর্বতভাবে পাশে পেয়েছেন ট্রাম্পকে।
মারিয়াকে বলা হয় ‘ভেনেজুয়েলার লৌহমানবী’। এই মুহূর্তে তিনি আত্মগোপন করে রয়েছেন। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করার জন্য ২০২৫ সালের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জনের মধ্যে তাঁর নামও নির্বাচিত হয়েছিল। গত বছর ভেনেজুয়েলার নির্বাচনের পর থেকেই অন্তরালে রয়েছেন তিনি। বলা হয় সেই সময় নিকোলাস মাদুরো ভোটে প্রবল কারচুপি করে ক্ষমতায় আসেন। আর সেই সময় থেকেই আত্মগোপন করেন দেশের প্রধান বিরোধী নেত্রী। এবার তিনিই পেলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। নোবেল কমিটি বলছে, মাচাদো দেশবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে সচেতন করেছেন। তাঁদের সেই অধিকারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী দল এক কালে দ্বিধাবিভক্ত ছিল। তাদের একত্রিত করার কৃতিত্ব মারিয়ার।
কিন্তু ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লড়াই সহজ ছিল না। সেই লড়াইয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তিনি বরাবর পাশে পেয়েছেন বলে এদিন বিবৃতি দিয়েছেন মাচাদো। সদ্য নোবেলজয়ী ওই নেত্রী বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই সম্মান ভেনেজুয়ালের মানুষের লড়াইয়ের স্বীকৃতি। আমরা জয়ের একেবারে কাছে দাঁড়িয়ে আছি। আর এই লড়াইয়ে এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে। ল্যাটিন আমেরিকার সব মানুষ, অন্যান্য সব গণতান্ত্রিক দেশ আমাদের এই স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের লড়াইয়ের অংশ।”
এরপরই নোবেলজয়ী মাচাদো স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, “এই সম্মান তিনি ভেনেজুয়েলার জনগণ এবং সর্বতভাবে সাহায্য করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উৎসর্গ করছেন।” অর্থাৎ ট্রাম্প নিজে নোবেল না পেলেও পুরস্কার প্রাপক তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, এটা অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.