সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর শুল্কবাণে হতভম্ব বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে কাঠগড়ায় তুলে ব্যঙ্গ করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দাবি করলেন, আমেরিকা রাশিয়ার কাছ থেকে ইউরেনিয়াম কিনে চলেছে পারমাণবিক শিল্পের উন্নতির জন্য। অথচ ভারতকে তারা চাপ দিচ্ছে মস্কোর থেকে জ্বালানি না কেনার জন্য।
রাশিয়ার শহর সোচিতে এক জনসভায় আগুনে ভাষণ দিয়ে পুতিন বলেন, ”বৃহত্তম না হলে, আমেরিকাই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়তে চাওয়া অন্যতম বৃহত্তম দেশ। যে সময় থেকে আমেরিকা পারমাণবিক শক্তিতে উন্নতি করেছে সেই সময় থেকেই তাদের এর জন্য প্রচুর জ্বালানির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আমরা অবশ্য মার্কিন বাজারে সর্বোচ্চ সরবরাহকারী নয়। তবে রাশিয়াই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সরবরাহকারী, যারা ইউরেনিয়াম দেয়।” প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে রাশিয়া আমেরিকাকে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলারের ইউরেনিয়াম সরবরাহ করেছে। এই কথা বলার পাশাপাশি পুতিন মনে করিয়ে দেন, ভারত যখন রাশিয়ার থেকে জ্বালানি কেনে, তখন এই আমেরিকাই প্রতিবাদ করে। ট্রাম্পের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে এদিন এভাবেই সরব হন পুতিন।
উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতের উপর চড়া হারে শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। পাশাপাশি, একাধিকবার শাসানিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে ‘বন্ধু’ রাশিয়া। আমেরিকাকে কড়া বার্তা দিয়ে রুশ বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়েছে, ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক অটুট। চেষ্টা করলেও কেউ ভাঙতে পারবে না। গত মাসেই তারা জানিয়েছে, বহিরাগত হুমকি এবং সমালোচনার মুখে পড়লেও ভারত সর্বদা রাশিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। সত্যি বলতে, অন্য কিছু কল্পনা করা কঠিন। দু’দেশের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের চেতনা এবং ঐতিহ্যকে সম্মান করে নয়াদিল্লি। মহাকাশ অভিযান, পারমাণবিক শক্তি, তেল অনুসন্ধান, সামরিক এবং আসমরিক-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বর্তমানে ভারত এবং রাশিয়া যৌথভাবে কাজ করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.