সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শুক্রবার আচমকা চিনের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা কার্যকর হবে ১ নভেম্বর থেকে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে একাধিকবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তোপ দেগেছে বেজিং। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে ‘শুল্কযুদ্ধ’ নিয়ে আচমকা ঢোঁক গিললেন ট্রাম্প। বলেন, “আমি শুল্ক চাপাতে চাইনি। শুল্ক চাপালে সমস্যার সমাধান হয়না। কিন্তু তারা আমাকে শুল্ক আরোপ করতে বাধ্য করেছে।”
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “শুল্কের পরিমাণ যত বেশিই হোক না কেন, তা দীর্ঘ মেয়াদি কোনও সমস্যার সামাধান করে না। আমি চিনের উপর শুল্ক আরোপ করতে চাইনি। কিন্তু বেজিং আমাকে সেই পদক্ষেপ করতে বাধ্য করেছে।” এরপরই তিনি বলেন, “আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে আমি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। আশা করছি আগামী দিনে দু’দেশের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” উল্লেখ্য, চিনের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর ফলে আগামী মাসের প্রথমদিন থেকে মোট শুল্কের পরিমাণ পৌঁছাবে ১৪০ শতাংশে। তবে এই তারিখ এগিয়েও আসতে পারে। হোয়াইট হাউস আগেই জানিয়েছে, যদি চিন আমেরিকার উপরে কোনও ‘আক্রমণাত্মক’ পদক্ষেপ করতে চায়, তাহলে অক্টোবর থেকেই নয়া শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।
কিন্তু কেন হঠাৎ চিনের উপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প? একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিরল খনিজ রপ্তানির উপর চিন নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাওয়াতেই এমন পদক্ষেপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প দাবি করেন, চিনের ওই সিদ্ধান্তে গোটা বিশ্বেই প্রভাব পড়ত। একইসঙ্গে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চিনের ‘দাদাগিরি’ খর্ব করতেই আমেরিকা এই পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই শুল্কযুদ্ধ নিয়ে আচমকা ঢোঁক গিললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.