সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবছর নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া করিনা মাচাদো। তারপরই নোবেল কমিটির বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে হোয়াইট হাউস। তাদের অভিযোগ, নোবেল কমিটি আসলে শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। হোয়াইট হাউসের এই অভিযোগের পরই মুখ খুলল নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান জর্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস।
তিনি বলেন, “অ্যালফ্রেড নোবেলের সম্মানার্থে এবং সমাজে অবদানের দিকটি বিবেচনা করে কোনও ব্যক্তিত্বকে নোবেল প্রদান করা হয়। বছরের পর বছর ধরে, কমিটির সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার জন্য এমন অনেক চেষ্টা দেখেছি। কিন্তু যারা সত্যিকারের শান্তির জন্য কাজ করেন, তাদেরকেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়।” তিনি আরও বলেন, “পাঁচ সদস্যের কমিটি একটি বিশেষ কক্ষে সভা করেন। অতীতে নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ীদের ছবি ওই কক্ষের দেওয়ালে থাকে, যা তাদের সাহস এবং সততার কথা মনে করিয়ে দেয় আমাদের।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন তিনি ৭ থেকে ৮টি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন। বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে তাঁর এই বিরাট অবদানের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কারের যোগ্য। তবে শেষ পর্যন্ত সব হিসেব উলটে পালটে যাওয়ায় আপাতত হোয়াইট হাউসের কাছে নোবেল পুরস্কার অনেকটা আঙ্গুর ফল টকের মতো। এক্স হ্যান্ডেলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং বিবৃতি জারি করে জানান, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি চুক্তি, যুদ্ধের অবসান এবং অসহায় মানুষের প্রাণ বাঁচানোর কাজ আগের মতোই জারি রাখবেন। তাঁর মধ্যে মানবিক হৃদয় রয়েছে। তাঁর মতো ব্যক্তি আর কখনও আসবেন না যিনি মনের জোরে পাহাড় সরাতে পারেন।’ এরপরই তিনি লেখেন, ‘নোবেল কমিটি আসলে শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।’
তবে হোয়াইট হাউস নোবেল শান্তি পুরস্কারে রাজনীতি দেখলেও বাস্তব বলছে চলতি বছর ট্রাম্পের নোবেল না পাওয়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ ছিল। তিনি এই পুরস্কারের যোগ্য কি না তা পরের বিষয়, ছিল একাধিক নিয়মের গেরো। ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি। এদিকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমার সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। মনোনয়ন নেওয়া হয়েছে ৩৩৮ জনের। অর্থাৎ দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ১২ দিন পর বন্ধ হয় মনোনয়ন প্রক্রিয়া। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে কোনও কৃতিত্ব নেই ট্রাম্পের। তাছাড়া, নোবেল কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালে যাঁরা নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন, তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ২০২৪ সালের কাজের ভিত্তিতে। সেই নিয়মেও যোগ্য ছিলেন না ট্রাম্প।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.