Advertisement
Advertisement
Syria

গৃহযুদ্ধ শেষের স্বস্তি নাকি জঙ্গি যুগের সূচনা? দামাস্কাস পতনের পরে কোন পথে ‘স্বাধীন’ সিরিয়া?

চরমপন্থী এই সুন্নি সংগঠনকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ গাজি আল-জালালি।

What is next for Syria after rebels claims Damascus
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:December 8, 2024 2:08 pm
  • Updated:December 8, 2024 2:21 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ঢুকে পড়েছে বিদ্রোহীরা। দামাস্কাসে ঢুকে ‘যুগের অবসান’ ঘোষণা করে দিয়েছে তারা। দেশ ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। ‘স্বাধীনতা’র আনন্দে সিরিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক বন্দিদের। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, আদৌ কি গৃহযুদ্ধ থামল সিরিয়ায়? নাকি আগামী দিনে যুদ্ধের ভয়াবহতা আরও বাড়বে? আবারও কি বিশ্বজুড়ে ত্রাস ছড়াবে ভয়ংকর জঙ্গিগোষ্ঠীরা?

Advertisement

২০১১ সালে আরব বসন্তে খানিকটা শামিল হয়েছিল সিরিয়াও। একনায়কতন্ত্রকে হঠিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু হয় মরুদেশটিতে। ২০০০ সাল থেকে মসনদে থাকা আসাদকে গদিচ্যুত করতে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিদ্রোহীদের যৌথমঞ্চ ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’ (এসডিএফ)। কুর্দ বাহিনী পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজি) নেতৃত্বে আরম্ভ হয় এক অসম যুদ্ধ। শুরুর দিকে লড়াইয়ে আলেপ্পো হাতছাড়া হলেও, ২০১৬ সালে তা পুনরুদ্ধার করে আসাদ বাহিনী। পাশাপাশি, ইরান ও রাশিয়ার মদতে বিদ্রোহীদেরও কোণঠাসা করে দেওয়া হয়।

তবে সময়ের সঙ্গে মার্কিন ও পশ্চিমের দেশগুলির মদতে সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে জবরদস্ত পালটা মার দিতে শুরু করে বিদ্রোহীরা। সবমিলিয়ে রাশিয়া, আমেরিকা, ইরানের মতো শক্তিগুলোর আধিপত্য বিস্তারের খেলায় বোড়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিয়া। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি নতুন করে মাঠে নামে সিরিয়ার বিদ্রোহী জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। তাদের নেতৃত্বে তাহরির আল শাম। রাষ্ট্রসংঘ থেকে ইতিমধ্যেই জঙ্গি তকমা দেওয়া হয়েছে আল কায়দার এই শাখা সংগঠনটিকে। তারাই এবার সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করতে চলেছে। চরমপন্থী এই সুন্নি সংগঠনকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ গাজি আল-জালালিও।

গোটা ঘটনায় সিরিয়ায় বিপদের আশঙ্কা দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে সিরিয়াজুড়ে শরিয়তি শাসন লাগু করতে চাইবে আল কায়দার শাখা সংগঠনটি। ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠবে সিরিয়ায়। তার প্রভাবে আতঙ্ক ছড়াবে গোটা দুনিয়ায়। অন্যদিকে, তাহরির আল শামের সঙ্গে কুর্দদের সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। কুর্দদের উপর রক্তচক্ষু রয়েছে তুরস্কের। তাই খানিকটা নিজেদের স্বার্থেই তাহরির আল শামকে সাহায্য করবে আঙ্কারা। এহেন পরিস্থিতিতে কুর্দের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে তাহরির আল শামের সংঘাত বেঁধে যাওয়াও খুব আশ্চর্যের নয়। ফলে আসাদের পতনে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়া তো দূর, সংঘাতের আগুন আরও তীব্র হবে বলেই আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের।

 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ