সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় গণঅভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপ্রধানের বাসভবনে ঢুকে পড়েছিল বিক্ষোভকারীরা, গত বছর ‘জুলাই বিপ্লবে’ বাংলাদেশেও একই ঘটনা ঘটে। পতন হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ছাত্র-যুব আন্দোলনে সেই ঘটনা নেপালেও। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৈডালের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। অধিকাংশ মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা হয়। ইতিমধ্যে প্রায় গোটা মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করছে। পরিস্থিতি বুঝে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে পদত্যাগ করতে বলেছেন দেশটির সেনাপ্রধান। ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন ওলি। একাধিক নেপালি সংবাদমাধ্যমের দাবি, তরুণদের এই নবজাগরণের নেপথ্যে এক তরুণ রক্তই। তিনি বছর ছত্রিশের সুদান গুরুং। কে এই সুদান গুরুং?
২০১৫ সালে নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। সেই সময়েই ‘হামি নেপাল’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন সুদান গুরুং। উল্লেখ্য, মারণ ভূমিকম্পে নিজের সন্তানকে হারান যুবক সুদান। এরপরই নিজের এনজিও-র মাধ্যমে প্রান্তিক নেপালের জন্য কাজ শুরু করেন তিনি। মূলত ছাত্র-যুবদের দ্বারা পরিচালিত এই সংগঠন। ২০১৫ সালের পরেই ত্রাণ এবং বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে হাত পাকাতে থাকেন সুদান। ধীরে ধীরে নেপালের ছাত্র-যুবদের কাছে জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। পরবর্তীকালে বিপি কৈরালা ইনস্টিটিউটে দুর্নীতির প্রতিবাদ করেন সুদান।
নেপালের সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, সরকারের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ চলছিলই। এর মধ্যেই ‘হামি নেপাল’-এর সভাপতি সুদান ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি সরকার বিরোধী প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেন। পড়ুয়াদের উদ্দেশে তাঁরা বার্তা ছিল, স্কুলের পোশাক পরে হাতে বই নিয়ে মিছিল করতে হবে। যদিও শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এর মধ্যেই ২৬টি সোশাল মিডিয়াকে নিষিদ্ধ করে কেপি ওলি সরকার। যাকে জনতার কণ্ঠরোধ হিসাবেই দেখেছে নেপালের ছাত্র-যুবরা। এরপরেই শুরু হয় পথে নেমে বিপ্লব। যার ফলে মঙ্গল পতনের মুখে ওলি সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.