Advertisement
Advertisement

Breaking News

Houthi

‘ইজরায়েলের সঙ্গ দিলে লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজ ধ্বংস হবে’, আমেরিকাকে হুমকি হাউথির

সম্প্রতি হাউথির সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছিল আমেরিকা।

Will target ships in Red Sea if US joins help Israel against Iran, say Houthis
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:June 21, 2025 9:51 pm
  • Updated:June 22, 2025 1:28 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে এবার সরাসরি প্রবেশ ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হাউথির। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ইরানের বন্ধু ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী সংগঠনের হুঁশিয়ারি, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধে আমেরিকা যদি ইজরায়েলের পক্ষ নেয় তবে ছেড়ে কথা বলবে না হাউথি। লোহিত সাগরের উপর দিয়ে যাওয়া মার্কিন জাহাজগুলিকে নিশানা করবে তারা।

লোহিত সাগরে হাউথি গোষ্ঠীর দাপাদাপি নতুন কিছুই নয়। গাজার বিরুদ্ধে ইজরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের সময় লাগাতার লোহিত সাগরে হামলা চালিয়েছিল এই হাউথিরা। সেই সময় ‘অপারেশন রাফ রাইডার’ নামে বড় সামরিক অভিযান শুরু করে আমেরিকা। উদ্দেশ্য ছিল হাউথিদের শেষ করা। বিলিয়ন ডলার খরচে আমেরিকার সেই অভিযান শেষ পর্যন্ত শান্তিচুক্তিতে এসে ঠেকে। গত মে মাসে আমেরিকা ও হাউথিদের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি অনুযায়ী, কোনও পক্ষ কাউকে আক্রমণ করবে না। তবে বর্তমান সময়ে সেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধে নেমেছে ইজরায়েল। শোনা যাচ্ছে, ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে সরাসরি এই যুদ্ধে নামতে পারে আমেরিকাও।

এই ডামাডোলের মাঝেই শনিবার ইয়েমেনের হাউথি গোষ্ঠীর মুখপাত্র ঘোষণা করেন, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধে আমেরিকা যদি ইজরায়েলের পক্ষে যোগ দেয় সেক্ষেত্রে লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে হামলা চালাবে তারা। প্রসঙ্গত, ইরান- ইজরায়েল যুদ্ধে ইজরায়েলের পক্ষ নিয়ে আমেরিকা যে সরাসরি যুদ্ধে যোগ দিতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, ”অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বা নাও পারে। দুই দিকেই যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকায়, আগামী দুই সপ্তাহের ভিতরে আমি সিদ্ধান্ত নেব যে আমি এটা করব কিনা।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ”প্রেসিডেন্ট সব সময়ই কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী। তিনি শান্তিরক্ষার মূল কাণ্ডারী। যদি এক্ষেত্রে কূটনৈতিক পথে সমস্যা সমাধানের সুযোগ থাকে উনি সেটা নিতে প্রস্তুত। কিন্তু প্রয়োজন পড়লে বলপ্রয়োগ করতেও উনি ভীত নন।”

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে সমস্ত সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলিকে সরাসরি মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে। তা ইয়েমেনের হাউথি হোক বা গাজার হামাস। এছাড়াও লেবাননের হেজবোল্লা। এই সমস্ত সংগঠন মদত তো বটেই প্রয়োজনে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে। যার জেরে এই সবকটি সংগঠন বাঁধা রয়েছে একসুতোয়। ইরানের উপর হামলার পালটা ইজরায়েলের আগেও হামলা চালিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি ভেঙে আমেরিকার উপর হামলার হুঁশিয়ারি হাউথিদের।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement