সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আপনারা ভারত এবং চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারেন না’! দুই বন্ধুরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়ে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তোপ দাগলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চিন সফরে এসসিও সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়ে এশিয়ার দুই বৃহত্তম শক্তিকে দমানোর চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। যা কখনই মেনে নেওয়া যায় না।
ভারত এবং চিনকে রাশিয়ার ‘সঙ্গী’ আখ্যা দিয়ে পুতিন বলেন, “দুই দেশের নেতৃত্বকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে” আমেরিকা। ঔপনিবেশিকতা নিয়ে ট্রাম্পক খোঁচা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “ভারতের জনসংখ্যা ১৫০ কোটি। চিন শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। তাদেরও নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং আইন রয়েছে।” পুতিনের সংযোজন, “যখন কেউ তোমাকে বলে যে তোমাকে শাস্তি দেবে, তখন ভাবতে হবে— এই বড় দেশগুলির নেতৃত্ব কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে?”
ভারত এবং চিন সম্পর্কে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “তারা ইতিহাসের কঠিন সময় দেখেছে। যেমন উপনিবেশবাদ। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের সার্বভৌমত্বের উপর কর আরোপ করা হয়েছিল।” এখানেই না থেমে ওয়াশিংটনকে পুতিন মনে করিয়ে দেন, উপনিবেশের যুগ কিন্তু শেষ হয়ে গিয়েছে। আমেরিকাকে বুঝতে হবে যে এভাবে ভারত এবং চিনের সঙ্গে কথা বলা যায় না।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান। পরে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখায় অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। পাশাপাশি সতর্কবার্তা দিয়ে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে তেল বাণিজ্য চালালে ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। এই অবস্থায় বাণিজ্যের বিকল্প পথ খুঁজছে ভারত। রাশিয়ার সঙ্গে আরও বাণিজ্যের পাশাপাশি চিনের সঙ্গেও বেড়েছে ঘনিষ্ঠতা। সম্প্রতি চিনের তিয়ানজিনে এসসিও সামিটের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পার্শ্ববৈঠক করেন। কাছাকাছি এসে ট্রাম্পকে কার্যত বার্তা দেন তিন রাষ্ট্রপ্রধান। এই ছবি চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকার কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ঘরের অন্দরেও সমালোচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.