ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বদলার চরম রূপ হয়ত দেখতে চলেছেন পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা। হাসিনা সরকার পতনের পর ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার শুধুই বদলার পথে হেঁটে চলেছে। এবার ২০২৪ সালে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় গণহত্যার অপরাধে বিচার চলাকালীন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসি চাইল ইউনুসের প্রশাসন! বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধদমন আদালতে শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর অর্থাৎ সরকারের প্রধান আইনজীবী মহম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ফাঁসির দাবি করেন। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ট্রাইব্যুনাল। উল্লেখ্য, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকপন্থীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান। এবার তাঁর বংশকে ধ্বংস করতে কার্যত উঠেপড়ে লেগেছে ইউনুসের সরকার।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ১ নং এজলাসে হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেন মহঃ তাজুল ইসলাম। এদিন সওয়াল-জবাব শেষ হয়েছে সরকারি পক্ষের তরফে। তা শেষ করেই চিফ প্রসিকিউটর এই মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা মামলায় মোট তিনজনকে আসামি হিসেবে মামলা শুরু হয় – তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের প্রাক্তন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। কিন্তু বিচার চলাকালীন মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিচারপতিদের কাছে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বক্তব্য, তাঁরা মনে করেন তৎকালীন আইজিপি মামুন ঘটনা সম্পর্কে পূর্ণ সত্য প্রকাশ করেছেন জবানবন্দিতে। এখন মামুনকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা ট্রাইব্যুনালই বিচার করবেন। এদিকে, পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে সরকারি আইনজীবী মহম্মদ আমির হোসেন পালটা সওয়াল করতে এক সপ্তাহ সময় চান। ট্রাইব্যুনালের তরফে আগামী সোমবার থেকে ফের সওয়াল-জবাবের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তার আগে ইউনুস প্রশাসনের পক্ষে মহঃ তাজুল ইসলাম যে হাসিনা এবং আসাদুজ্জামানের ফাঁসির দাবি তোলায় স্পষ্ট, বঙ্গবন্ধুর বংশ ধ্বংস করতেই উদ্যত বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.