ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাঁড়ে মা ভবানী। নিজের দেশের বন্দরের দেখভালটুকুও করতে পারছে না বাংলাদেশ। তাই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল বৈদেশিক সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার। চলতি বছরের শেষেই হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে যাবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফ দাবি, এছাড়া আর কোনও উপায় নেই। যদিও এই হস্তান্তরকে আধুনিকীকরণ বলে অভিহিত করছে বাংলাদেশের নৌ পরিবহণ মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া ও নিউমুরিং কনটেনার এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও বন্দরের টার্মিনালের দায়িত্ব আপাতত বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। লালদিয়া টার্মিনালটি ৩০ বছরের জন্য় লিজ দেওয়া হবে। বাকি দু’টি টার্মিনালের জন্য ২৫ বছরের লিজ দিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, এই তিনটি টার্মিনাল প্রত্যেক দিন পরিচালনা করতে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়। ভারতীয় মুদ্রায় যে অঙ্কটা ১৩ লক্ষ টাকারও বেশি। সেই ব্যয়ভার থেকে মুক্ত হবে বাংলাদেশি কোষাগার।
বাংলাদেশের নৌপরিবহণ মন্ত্রকের সচিব মহম্মদ ইউসুফ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩টি গেটের প্রত্যেকটিতে পর্যাপ্ত স্ক্যানিংয়ের যন্ত্র নেই। যত সংখ্যক যন্ত্র রয়েছে সেগুলির অর্ধেকও খারাপ হয়ে পড়ে থাকে। ইউসুফের কথায়, ‘‘এ ভাবে তো বন্দর চলতে পারে না। আমরা বিদেশি অপারেটরদের এই কাজে নিয়োগ করব। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষের বেশি কনটেনার ওঠানো-নামানোর চ্যালেঞ্জ আমাদের সামাল দিতে হবে। তাই বিদেশি অপারেটর ছাড়া আর উপায় নেই।’’
তবে বিদেশি অপারেটরদের হাত ধরে নতুন বিনিয়োগ আসবে বলে আশাবাদী ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘‘এটা করতে পারলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। ভারত, শ্রীলঙ্কা-সহ অনেক দেশেই এই ব্যবস্থা চালু আছে। সেখানেও বিদেশি অপারেটরদের নিয়োগ করা হয়েছে।’’ বাংলাদেশের বন্দরগুলির উন্নয়ন হবে, আধুনিকীকরণ হবে, নৌপরিবহনে বাংলাদেশি বন্দরগুলির গুরুত্ব বাড়বে, এমনটাই আশা ইউসুফের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.