সুমন করাতি, হুগলি: নৈহাটির পর কোন্নগর। আম পাড়ার ‘অপরাধে’ কিশোরকে পেরেক লাগানো লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। পরিবারের দাবি, তার ফলে চোখে গুরুতর চোট পেয়েছে কিশোর। বর্তমানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন্নগরের মাস্টার পাড়ায় তুমুল উত্তেজনা। অভিযুক্ত টোটোচালকের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব এলাকাবাসী। এখনও অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কোন্নগর মাস্টার পাড়ায় একটি বাড়িতে থাকা আম গাছে আম পাড়তে যায় দুই কিশোর। একজন পালিয়ে যায়। অভিযোগ, আরেক কিশোরকে ধরে ফেলে স্থানীয় এক টোটোচালক। কিশোরের পরিবারের মায়ের অভিযোগ, “আমার ছেলে আম পাড়তে গিয়েছিল। লোকটা দেখেছে। একটা ছেলে পালিয়ে গিয়েছে। আমার ছেলেকে পড়ে যায়। সেই সুযোগে ধরে ফেলে। লাঠি দিয়ে মারে। হাড় ভেঙে গিয়েছে। চোখের নিচে ভেঙে যায়। মাথার পিছনে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। যে এই কাজ করেছে তার আমি শাস্তি চাই।”
মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উত্তরপাড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। কিশোরকে উদ্ধার করে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। কিশোরকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর বাড়িতেই ছিল। তারপর থেকে বাড়িতে ছিল কিশোর। শুক্রবার থেকে জখম কিশোরের চোখে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। কালসিটের পড়ে যায়। যন্ত্রণায় জ্ঞানও হারায়। তাকে প্রথমে শ্রীরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে আপাতত চিকিৎসাধীন সে। কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান অভিযুক্ত টোটোচালকের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। কিন্তু ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কোন্নগর ফাঁড়ির বিরুদ্ধে আবারও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলছে নাগরিক সমাজের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.