Advertisement
Advertisement
সিভিক ভলান্টিয়ার

সিভিক ভলান্টিয়ারের তোলাবাজি! দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র আসানসোল

তোলাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

Asansol: Youth dead after an accident took place at Barabani
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 2, 2019 8:27 pm
  • Updated:June 2, 2019 9:27 pm  

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে উত্তপ্ত আসানসোলের বারাবনি৷ পুলিশের গাড়িতে এবং পুলিশ পোস্টে আগুন, রণক্ষেত্র হয়ে উঠল এলাকা। রবিবার পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় আসানসোলের বারাবনির রুণাকুড়া ঘাট সংলগ্ন এলাকায়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের দুটি বাইকেও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুখেই দেশভক্তি! তেরঙ্গা মাটিতে ফেলে দলীয় পতাকা টাঙানোর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে]

রবিবার দুপুরে বারাবনির রুণাকুড়া ঘাটের কাছে একটি মোটরবাইক একটি পিকআপ ভ্যানের পিছনে গিয়ে ধাক্কা মারে। আহত অবস্থায় তিন আরোহীকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি দু’জনকে জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। মৃতের নাম জীবন বাউরি (৩৭)। বাড়ি জামুড়িয়ার দরবারডাঙা এলাকায়। আহত দু’জন অজয় বাউরি ও সঞ্জয় বাউরি। এদের বাড়ি বারাবনির হুসেনপুরা ও দোমোহনি এলাকায়।
ওই তিনজন নদীর ওপারে ঝাড়খণ্ডের নলা অঞ্চলে বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ভ্যানটির পিছন-পিছনই বাইক আরোহীরা আসছিলেন। হঠাৎ করেই ঘাটের কাছে সিভিক পুলিশরা ব্যারিকেড টেনে ভ্যানটিকে দাঁড় করিয়ে দেয়। সামনে হঠাৎ ভ্যানটি দাঁড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাইকটি। ভ্যানের পিছনে গিয়ে ধাক্কা মারে৷ তখনই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

Accident

[আরও পড়ুন: ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন মাছ ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ পরিবারের]

এরপরেই স্থানীয়রা অভিযোগ তোলেন, ওই সিভিক ভলান্টিয়াররা তোলা আদায়ের জন্য ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি দাঁড় করায়। ফলে যখনতখন যানজট সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উজ্জ্বল ঘোষ, মান্তু ঘোষ, সলিল মাজিরা বলেন, ঝাড়খণ্ড থেকে চারচাকা যে কোনও গাড়ি ঢুকলেই সিভিকরা হাত পেতে টাকা তোলে। ভ্যান জাতীয় গাড়ি হলে তো চালকের সঙ্গে মারপিটও করে। তাঁদের মতে, সিভিক ভলান্টিয়াররাই দায়ী এই দুর্ঘটনার জন্য।ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা প্রথমে পথ অবরোধ করে। তারপরেই অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সিভিক ভলান্টিয়াররা ভয়ে পালিয়ে গেলে তাদের দুটি বাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘাতক ভ্যানটিতেও আগুন লাগিয়ে ঠেলে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর বারাবনি থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এডিসিপি ওয়েস্ট অনমিত্র দাস বলেন, তোলাবাজির অভিযোগ ঠিক নয়। ভ্যানটি আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল। দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যানের পেছনে বাইকের ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

barabani-fire

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement