প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক সমস্যার কারণে সংসারে অশান্তি ছিল। বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল বিবাদ হয়। এরপর স্ত্রী রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। আজ শুক্রবার ঘর থেকে উদ্ধার হল ব্যক্তির গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম উত্তম বারিক (৫২)। স্ত্রীর নাম সঙ্গিতা বারিক। তাঁদের বছর ২০ আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। উত্তমবাবু দালালির কাজ করতেন। বেশ কিছু দিন তাঁর আয়ও কমে গিয়েছিল। বাজারে অনেক টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল বলেও খবর। এদিকে সংসারেও অনটন চলায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও বিবাদ চলছিল অনেক দিন ধরে।
বৃহস্পতিবার স্ত্রী সংসার খরচের জন্য টাকা চাইলে দিতে পারেননি উত্তমবাবু। দুজনের মধ্যে প্রবল অশান্তি হয়। রাগ করে স্ত্রী সন্ধেবেলা বারুইপুরের বিড়াল এলাকায় বাপেরবাড়ি চলে যান মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে। রাতে আর দুজনের মধ্যে কোনও যোগাযোগ হয়নি। আজ শুক্রবার স্বামীকে একাধিকবার ফোন করেন স্ত্রী সঙ্গিতা। কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশী এক যুবককে ফোন করে ওই বাড়িতে যেতে বলেছিলেন ওই মহিলা।
সেই মতো যুবক ওই বাড়িতে এসে উত্তমবাবুর নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকেন। বাড়ির সব দরজা-জানলা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। এরপর ওই যুবক বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। দেখা যায়, জানলার সঙ্গে উত্তম বারিকের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জন্যই এই ঘটনা? পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। ওই দম্পতির একমাত্র মেয়ে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.