Advertisement
Advertisement
Darjeeling

সিকিম-দার্জিলিংয়ে বুকিং বাতিলের হিড়িক, পর্যটনে ৫০ শতাংশের বেশি ঘাটতির আশঙ্কা

জুন মাসেও পর্যটকদের বুকিং নেই বললেই চলে।

Booking cancellations in Sikkim-Darjeeling, fears of over 50 percent drop in tourism

ফাইল ছবি।

Published by: Suhrid Das
  • Posted:May 12, 2025 6:45 pm
  • Updated:May 12, 2025 6:45 pm  

বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হয়েছে। তবে এতটুকু স্বস্তির আভাস নেই উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পর্যটন শিল্পে। অশান্তি আবহের দোসর মেরামতের জন্য ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধদশা। এই পরিস্থিতিতে সিকিম ও দার্জিলিংয়ে ভরা মরসুমে পর্যটকদের বুকিং বাতিলের হিড়িক অব্যাহত। এবার উত্তরে গ্রীষ্মকালীন পর্যটন শিল্পে ঘাটতি ৫০ শতাংশের বেশি হবে। এমনই আশঙ্কা করছে ট্যুর অপারেটর সংস্থাগুলি।

ট্যুর অপারেটর সংস্থাগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান প্রায় ১৮ শতাংশ হয়েছে। ২০২৩ সালে রাজস্ব আদায় ছিল সর্বোচ্চ। ভারতীয় মুদ্রায় ১ হাজার ৮৬৩.৮৭১ মিলিয়নে পৌঁছেছিল৷ ২০২৩-২০২৪ সালে সেই পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার কোটি টাকা। তাই বলাই যায়, পশ্চিমবঙ্গেও জিডিপির ক্ষেত্রে পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এবার গ্রীষ্মের মরশুমে সিকিমের পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পং, ডুয়ার্সে পর্যটকের ঢল দেখে সর্বকালীন রেকর্ড ভাঙার আশা জেগেছিল বিভিন্ন মহলে।

পহেলগাঁও কাণ্ডের পর গোটা পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডর পাক সেনা, জঙ্গিদের সফট টার্গেট হতে পারে। এমনই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ফলে পর্যটকদের বেশিরভাগ ভ্রমণসূচি কাটছাট করে ফিরে গিয়েছেন। ফলে এখন পাহাড় ও ডুয়ার্স পর্যটক শূন্য হয়েছে। শুধু তাই নয়, জুন মাসেও বুকিং নেই বললেই চলে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি সম্রাট স্যান্যাল বলেন, “কেবল আমার ২১ লক্ষ টাকার বুকিং বাতিল হয়েছে। সমস্ত ট্যুর অপারেটরদের বুকিং বাতিলের সংখ্যা হিসেব করলে যে সংখ্যা দাঁড়াবে, সেটা ভাবতেই ভয় করছে। আমার প্রাথমিক ধারণা এবার পর্যটন শিল্পে ঘাটতি ৫০ শতাংশের বেশি হবে।” তিনি আরও বলেন, ”এবারের গ্রীষ্মকালীন পর্যটন ধাক্কা খাওয়ার জন্য শুধু যে যুদ্ধ পরিস্থিতি, এমনটা ভাবার কিছু নেই। ভরা মরশুমে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ রেখে মেরামতের কাজ শুরু করাও অন্যতম কারণ। কোনও পর্যটক এত টাকা খরচ করে এসে যানজটের হ্যাপা পছন্দ করে না।” রাজ্য ইকো ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, “খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা পর্যটকদের আশ্বস্ত করছি। কিন্তু লাভ হচ্ছে না।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement