সুমন করাতি, হুগলি: দেশে ফেরার ৯ দিন পর নিজের বাড়ি ফিরছেন পাকিস্তানে বন্দি বিএসএফ জওয়ান। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের পর হাওড়া স্টেশনের ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছন পূর্ণম কুমার সাউ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে হুগলির রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছনোর কথা তাঁর। বাড়িতে অপেক্ষায় তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। বলছেন, “ঠিক যেন রাম আসছেন।”
বাবা এবং রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান হাওড়া স্টেশনে পূর্ণমকে স্বাগত জানাতে যান। স্টেশনে তাঁকে জাতীয় পতাকা এবং ফুলের তোড়া দিয়ে বীর জওয়ানকে অভ্যর্থনা জানান। হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে পূর্ণম বলেন, “আপনাদের প্রার্থনায় ফিরতে পারলাম।” এদিকে, রিষড়ার বাড়ির সামনে লোকে লোকারণ্য। ঠিক যেন অকাল দীপাবলির আবহ। বৈদ্যুতিন আলো, প্রদীপে সাজানো হয়েছে গোটা বাড়ি। আনা হয়েছে কেক। চলছে জোর রান্নাবান্নাও।
হাওড়া স্টেশন থেকে সড়কপথে রিষড়া পৌঁছনোর কথা পূর্ণমের। সেখানে অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী। এদিন বলেন, “গত ২৩ এপ্রিল পাকিস্তানে বন্দি হন স্বামী। তার আগের মাসে বাড়ি এসেছিলেন। সেই হিসাব করলে প্রায় দু’মাস পর দেখা হবে। বাড়িতে যেন অকাল দীপাবলি। ঠিক যেন রাম আসছেন। খুব ভালো লাগছে। বাড়িতে কেক আনা হয়েছে। কেক কাটা হবে। রান্নাবান্না হচ্ছে। লুচি, তরকারি, মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন। তাই তাঁর পছন্দমতো রান্নাবান্না হচ্ছে।” পূর্ণমের বছর আটেকের ছেলেও বাবার অপেক্ষায় উদগ্রীব। বাবা ফিরলে খেলা করবে বলেই জানিয়েছে সে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল, ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে পাক রেঞ্জার্সের হাতে আটকে পড়েন পূর্ণম কুমার সাউ। ভারতের প্রবল কূটনৈতিক চাপে আটক জওয়ানকে ২২ দিন পর ফেরাতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। গত ১৪ মে, ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরানো হয় পূর্ণমকে। ভিডিওকলে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনীর সঙ্গে কথা হয় তাঁর। কিন্তু তখনই বাড়ি ফিরতে পারেননি। স্বাস্থ্যপরীক্ষা, পাকিস্তানে তাঁর উপর কী কী অত্যাচার করা হয়েছে, মানসিকভাবে পূর্ণম কতটা ঠিক রয়েছেন সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হয়। সেই পর্ব মিটতেই দেশে ফেরার ৯ দিনের মাথায় রিষড়ার বাড়ির পথে জওয়ান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.