প্রতীকী ছবি
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ধৃত সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দুর্গাপুরের নির্যাতিতার! হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হাতে পেয়ে এমনটাই দাবি করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, ঘটনার দিন রাতে পরিকল্পনামাফিক প্রেমিকের সঙ্গে দুর্গাপুরের ওই অভিশপ্ত জঙ্গলে যাচ্ছিলেন নির্যাতিতা। আচমকা তিন দুষ্কৃতী হানা দেয়। নিমেষে পালটে যায় পরিস্থিতি। পুলিশের দাবি, নির্যাতিতা ও তাঁর প্রেমিক তথা সহপাঠী জানিয়েছেন ঠিক কী ঘটেছিল ওই রাতে। যদিও তারা বারবার বয়ান বদল করছে। পরিকল্পনামাফিক বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
ঠিক কী জানিয়েছেন নির্যাতিতা ও তাঁর প্রেমিক? তাঁদের দাবি, ঘটনার দিন রাতে দুর্গাপুরের জঙ্গলে যাওয়ার রাস্তায় তাঁদের অনুসরন করে তিন দুষ্কৃতী। তাঁদের জঙ্গলকে ঢুকতে দেখে অভিযুক্তরাও ঢোকে। নির্যাতিতা ও তাঁর প্রেমিকের দাবি, মোবাইল ছিনতাই করে তাঁদের কাছে টাকা চায় অভিযুক্তরা। দিতে না পারায় প্রেমিককে নাকি হস্টেলে ফেরত পাঠায় টাকা আনতে। অভিযোগ, তখনই তিন দুষ্কৃতীর একজন তরুণীকে ধর্ষণ করে। এরপর সহপাঠী ফিরলে বাকি দু’জন নাকি নির্যাতিতাকে তুলে দেয় তাঁর হাতে। যদিও এই দাবি আদৌ সত্য কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার পাঁচ দিন পর আবার নতুন করে ‘ক্রাইম সিন’ অর্থাৎ জঙ্গল ঘিরছে পুলিশ। আগেই বেশ কিছুটা জায়গা ঘিরেছিল পুলিশ। এদিন নতুন করে আরও ৫৫ মিটার এলাকা কর্ডন করে দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপ ঘিরে উঠছে একের পর এক প্রশ্ন। তাহলে কি নতুন কোনও প্রমাণের খোঁজ মিলেছে? নাকি তদন্তে এসেছে নতুন কোনও মোড়? এদিন দুর্গাপুরের চিকিৎসক ছাত্রীকে নির্যাতনের তদন্তে দুর্গাপুর পুলিশকে সাহায্য করতে যান সাইবার বিশেষজ্ঞ ও কলকাতা হাই কোর্টের আইনিজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি নিউটাউনশিপ থানায় যান। এদিন বিভাসবাবুর সঙ্গে থানাতেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায়, সিআই (এ) রণবীর বাগ। এখানেই ধৃত পাঁচ অভিযুক্ত ও ধৃত নির্যাতিতার সহপাঠীকেও দফায় দফায় জেরা করা হয়। মুখোমুখি বসিয়েও এক প্রস্থ জেরা করা হয় ধৃতদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.