স্টাফ রিপোর্টার: ‘মা, আমি চুরি করিনি’, খাতায় লিখে চিপসের প্যাকেট চুরির অপবাদ মাথায় নিয়েই আর না ফিরে আসার দেশে চলে গিয়েছে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। কিন্তু, পাঁশকুড়ার ওই ঘটনা নিয়েই জল ক্রমশ আরও ঘোলা হচ্ছে। স্কুলের খাতায় তার লেখা বলে দাবি করা তথাকথিত ‘সুইসাইড নোট’ জল্পনায় আরও ইন্ধন জোগাচ্ছে। কারণ, হাতের লেখা বিশারদদের মতে, ওই খাতায় ‘মা, আমি চুরি করিনি’ লেখার ঠিক উপরে আরও লাইন দুয়েক লেখা রয়েছে। কিন্তু, সেই লেখা আর তথাকথিত সুইসাইড নোটের হাতের লেখা আদৌ একজনের নয়!
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, যদি সুইসাইড নোটটি ওই কিশোরই লিখে থাকে, তাহলে তারই খাতায় আগের লেখাটি কার? আবার যদি আগের লেখাটি ওই কিশোরের হয়ে থাকে, তাহলে সুইসাইড নোট লিখল কে? আর যদি সে সত্যিই অপমানে আত্মঘাতী হয়ে থাকে, তাহলে তার হয়ে অন্য কারও সুইসাইড নোট লিখে দেওয়ার অবকাশ আদৌ থাকে কি? এই একাধিক প্রশ্নের আবহেই রহস্য দানা বাঁধছে যে, আদৌ কি আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোর, নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কাহিনি লুকিয়ে রয়েছে? পাশাপাশি, ওই কিশোরের বাবা ও মায়ের সম্পর্কে টানাপোড়েন নিয়েও এলাকায় নানা কথা শোনা যাচ্ছে। কাজেই মর্মান্তিক এই ঘটনা কোনওভাবে তারই পরিণতি কি না, তা নিয়েও চর্চা চরমে।
এ দিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত দোকানদার তথা সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ি ভাঙচুরের পর এলাকায় তোলপাড় তুঙ্গে উঠলেও সে অধরাই। আবার, সেদিন ওই কিশোর দোকান থেকে চুরি না করলেও (সিসিটিভি ফুটেজ যা দেখাচ্ছে) তাকে ওই অপবাদ দেওয়ার নেপথ্যে ‘জামাই’ নামে স্থানীয় আর এক যুবকের নামও উঠে আসছে। বলা হচ্ছে, শুভঙ্কর ওই কিশোরকে বকাঝকার পর সেই ‘জামাই’ও তার উপর হম্বিতম্বি করে। সে-ই নাকি তার মা-সহ ওই কিশোরকে দোকানে টেনে আনে। কেন ওই ‘জামাই’য়ের এত তৎপরতা, তাও প্রশ্নের মুখে। স্বভাবতই, মর্মান্তিক ওই মৃত্যু নিয়ে রহস্য ক্রমশ আরও গভীর হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.