ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাল মন্দিরে গিয়ে বাঁদরকে প্রসাদ দেওয়ার কথা ভুলে যান। ম্যালে রোদ পোহাতে পোহাতে সামনে ঘুরে বেড়ানো বাঁদরকে ভুট্টাদানা বা কলা খেতে দেওয়ার কথা ভাবনাতেও আনবেন না। দার্জিলিং-এ বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের প্রিয় তো বটেই পাহাড়ের গর্বের ম্যাল সাফসুতরো রাখতে নয়া ফরমান পুরসভার।
ম্যাল পরিষ্কার রাখতে আস্তাবল রোডে বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আগেই। ঘোড়ায় চড়ার ক্ষেত্রেও যেমন কিছু নিয়ম কানুন লাগু করা হয়েছে, তেমনই আস্তাবল ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার বাঁদরের জন্য সতর্কতা। উল্লেখ্য মহাকাল মন্দিরের কাছে গাছে প্রচুর বাঁদর আছে। পর্যটকদের হাত থেকে মোবাইল-সহ নানা জিনিস নিয়ে চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। তাই বাঁদরের বাঁদরামি বন্ধ করতে এই নয়া ফরমান। আপনি যদি ভুলেও পাহাড়ে কোনও বাঁদরকে কলা বা অন্যকিছু খেতে দেন তাহলে গুনতে হবে মোটা জরিমানা। সম্প্রতি এই নিয়ম লাগু করেছে দার্জিলিং পুরসভা। ম্যালে বাঁদরের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে ম্যাল সহ দার্জিলিং এর বিভিন্ন জায়গায় সরকারি বোর্ড বসিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যে বা যারা এই নিয়ম মানবেন না তাকেই জরিমানা দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। তা স্থানীয় বাসিন্দা হোক কিংবা পর্যটক। কেউ এবিষয়ে ছাড় পাবেনা। দার্জিলিং শহরে ক্রমেই বাঁদরের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অনেক সময় তাদের কামড়ে জখমও হতে হয় স্থানীয় বাসিন্দা কিংবা পর্যটকদের। এককথায় বাঁদরের বাঁদরামিতে অতিষ্ট শৈল শহরের বাসিন্দারা।
বন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে পাহাড় জঙ্গল বেয়ে খাবার খুঁজে খাওয়াই অন্যতম প্রবৃত্তি। তবে বিগত বেশ কয়েক বছরে সেই প্রবৃত্তি বা অভ্যাস থেকে সরে আসছে বাঁদর। কারণ খুব সহজেই মিলছে খাবার, আর সেই কারনেই একেবারে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে সকাল হলেই। বিশেষ করে দার্জিলিংয়ের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা ম্যাল রোডে প্রতিদিন বাড়ছে বাঁদরের সংখ্যা।
পর্যটকে ঠাসা ম্যাল রোডে খাবারের অভাব নেই। কাজেই সেখানেই ভিড় জমায় তারা। অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফলে খাদ্যাভ্যাসও পাল্টে যাচ্ছে এই বন্যপ্রাণীদের। তাই এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই ১৯ আগস্ট দার্জিলিং পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয় তারা এই আইন লাগু করবে। পরে ২ সেপ্টেম্বর বোর্ড সভা করে এই আইন লাগু করা হয়। এখন থেকে কেউ আর পাহাড়ে বাঁদরদের খাওয়াতে পারবে না।
এবিষয়ে দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান দিপেন ঠাকুরি বলেন, “এখন খাবার না দিলে কামড় পর্যন্ত বসাচ্ছে বাঁদরের দল। তাই আমরা দ্রুত রেজুলেশন পাশ করে এই নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছি। ইতিমধ্যেই পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিং বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। আমরা চাই স্বাভাবিক যে খাদ্যাভ্যাস তাদের তারা সেটাতেই ফিরে যাক। পর্যটক বা সাধারণ বাসিন্দা, জরিমানা সকলের ক্ষেত্রেই এক। আর এটাকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। তারা নজরদারি চালাবে এবিষয়ে। বিশেষ করে ম্যাল এলাকায় বেশি করে নজরদারি চলবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.