Advertisement
Advertisement

Breaking News

Durga puja 2025

মণ্ডপ তৈরির অগ্রিম নিয়ে উধাও ডেকরেটর সংস্থা! কীভাবে হবে পুজো? চিন্তায় উদ্যোক্তারা

তালিকায় আছে সাংসদ-বিধায়কের পাড়ার পুজোও।

Decorator company has taken money and escaped in coochbehar

ফাইল ছবি।

Published by: Kousik Sinha
  • Posted:September 16, 2025 2:08 pm
  • Updated:September 16, 2025 2:08 pm   

বিক্রম রায়, কোচবিহার: একের পর এক পুজোর মণ্ডপে থিম তৈরি করে দেওয়ার জন্য অগ্রিম টাকা নিয়ে উধাও ডেকরেটর সংস্থা। ফলে বিপাকে পড়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। এই তালিকায় রয়েছে খোদ কোচবিহারের সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ও বিধায়িক সঙ্গীতা রায়ের পাড়ার ক্লাবও। স্বাভাবিকভাবে শেষ মুহূর্তে ডেকরেটার সংস্থা কাজ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় এখন বিকল্প পদ্ধতি খুঁজতে ব্যস্ত পুজা উদ্যোক্তারা। কোচবিহার শহরের গুড়িয়াহাটি ক্লাবের সঙ্গেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং গোটা বিষয়টি নিয়ে তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

সিতাই কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সংগীতা রায় জানিয়েছেন, বাড়ির পাশেই বয়েজ ক্লাব রয়েছে। সেখানে পুজোর জন্য মণ্ডপ ও থিম তৈরি করে দিতে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের একটি ডেকরেটর সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা বাজেট ঠিক করা হয়েছিল। অগ্রিম হিসেবে ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা তাঁরা দিয়েছিলেন। তবে কিছুদিন তুফানগঞ্জের একটি ডেকরেটরকে দিয়ে কাজ করানোর পরেই হঠাৎ করে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বারাসাতের সেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরছেনা। অন্য নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কাজ করতে পারবেনা। এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যেহেতু কোচবিহারের সাংসদের নিজস্ব পাড়ার ক্লাব এটা, তাই বিকল্প পদ্ধতিতে গোসানিমারীর একটি ডেকরেটর সংস্থাকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।

কোচবিহার শহরের গুড়িয়াহাটি ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সুব্রত সিনহা জানিয়েছেন, বারাসাতের একটি ডেকোরেটর সংস্থা কয়েক মাস আগের যোগাযোগ করেছিল এবং ঠিক করা হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বাজেটের কাজ। তার জন্য ৯০ হাজার টাকা প্রথম ধাপে দিয়েছিলেন। তবে হঠাৎ করে তারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে স্থানীয় একটি ডেকোরেটরকে দিয়ে বাঁশের কাজ করানো হয়েছিল। সেই ডেকোরেটর নিজের প্রাপ্য টাকা পর্যন্ত পায়নি। যে সংস্থা কাজ নিয়েছিল তারা আর যোগাযোগ করছে না। ফোন ধরছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। কম সময়ের মধ্যে যাতে কোন মতে মণ্ডপের কাজ শেষ করা যায় তার জন্য গত বছর কাজ করে যাওয়া নবদ্বীপের একটি ডেকোরেটর সংস্থার সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছেন। বিকল্প পদ্ধতিতে কোনমতে কাজ নামানোর চেষ্টা চলছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ