প্রতীকী ছবি।
সুমন করাতি, হুগলি: বিয়ের যাবতীয় আয়োজন সারা। সকাল থেকে জোরকদমে শুরু হয়েছে রান্নাবান্নাও। ছেলের বাড়ি থেকে গায়ে হলুদের হলুদ আসার অপেক্ষায় কন্যাপক্ষ। এরই মাঝে এল দুঃসংবাদ। জানা গেল, হবু বরকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ! মুহূর্তে বিয়ের অনুষ্ঠানে নেমে এল বিষাদের ছায়া। গোটা ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলিতে।
গত বছর নভেম্বর মাসে বৈদ্যবাটির এক যুবতীর সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ের ঠিক হয় ত্রিবেণীর সৈকত অধিকারীর। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের দিন ঠিক হয় ৫ মার্চ মঙ্গলবার। সেই মতো বিয়ে উপলক্ষে এদিন সকালে শুরু হয়েছিল গায়ে হলুদের তোড়জোড়। তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ছেলের বাড়ি থেকে কেউ না আসায় চিন্তায় পড়ে মেয়ের পরিবার। এর পর দুপুরে আসে দুঃসংবাদ। খবর আসে, সকালেই পাত্র সৈকতকে তুলে নিয়ে গিয়েছে স্থানীয় মগরা থানার পুলিশ।
এর পরই পুলিশ সূত্রে প্রকাশ্যে আসে পুরো বিষয়টি। জানা গিয়েছে, গত ৯ বছর ধরে এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত সৈকতের। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই যুবতীর সঙ্গে দিনের পর দিন সহবাস করেন ওই যুবক। এমনকী বৈদ্যবাটিতে গিয়ে নাকি বিয়েও করেন তাঁরা। এরই মাঝে ওই যুবতীর সঙ্গে প্রতারণা করে অন্য একজনকে বিয়ে করতে চলেছিলেন তিনি! সৈকতের বিয়ের কথা জানতে পেরে সোমবার রাতেই মগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় সৈকতকে।
বিয়ের আগে এমন ঘটনায় বিস্ময়ে হতবাক পাত্রীপক্ষও। তবে তাঁদের প্রতিবেশীদের দাবি, বিয়ের আগেই কপাল জোরে রক্ষা পেয়েছে মেয়ে। এদিকে পাত্রীর মা বলছেন, ”বক্স খাট, আলমারি থেকে শুরু করে আরও একাধিক জিনিস যৌতুক চেয়েছিল ছেলে। দাবি মতো সব কিছু কেনাও হয়। এত আয়োজন, আত্মীয়স্বজন নিমন্ত্রিত। আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তবু আমরা চাই ওই যুবক শাস্তি পাক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.