নিজস্ব ছবি
সুমন করাতি, হুগলি: সরকারি জমি দখল করে পাকা নির্মান চুঁচুড়ায়। পুকুর ভরাটের নালিশ পেয়ে এলাকায় গিয়ে অবাক বিধায়ক। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানালেন বিধায়ক। বিরোধীদের প্রশ্ন, স্থানীয় কাউন্সিলর অথবা ওয়ার্ডের অন্য কারোর নজরে পড়ল না কেন?
সরকারি জমি দখলের অভিযোগে চাঞ্চল্য চুঁচুড়ায়। পরিদর্শনে গিয়ে অবাক চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতাপপুর এলাকায় একটি সরকারি জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকা পরিদর্শনে যান বিধায়ক অসিত মজুমদার। সেখানে গিয়ে দেখেন, সংশ্লিষ্ট সরকারি জমিটি ইতিমধ্যেই পাকাপাকিভাবে দখল করে নেওয়া হয়েছে। একটি জলাশয়ের পারে পাকা নির্মান করা হয়েছে। রাবিশ ফেলে সমান করা হয়েছে। এই দৃশ্য দেখে নিজের ক্ষোভে উগরে দেন বিধায়ক।
বিধায়কের দাবি, “এটি সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। আমি জেলাশাসক, বিএলআরও, অতিরিক্ত জেলাশাসক ভূমি দপ্তর এবং চুঁচুড়া থানার আইসির কাছে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানাবো। আমি কোনওভাবেই বেআইনি দখলদারি বরদাস্ত করব না।” তিনি আরও বলেন, “যদি এই ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি বিষয়টি জেনে থাকেন এবং প্রশাসনকে না জানান, তাহলে আমি দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাবো। দল সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।”
পুকুর ভরাটের ঘটনায় অভিযুক্ত অচ্যুৎ সাধু জানান, “আমি এই জমি সরকারের কাছে লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম এবং বিষয়টি পৌরসভাকেও জানিয়েছিলাম। তবে আমি জানতাম না যে সরকারি অনুমোদন ছাড়া সরকারি জমিতে কোনও নির্মান করা যায় না। এটা আমার ভুল হয়েছে।” দু’মাস ধরে তিনি এই কাজ করেছেন বলে জানিয়েছে অভিযুক্ত।
প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে দিনের আলোয় দু’মাস ধরে দখল হয়ে গেলো সরকারি জমি অথচ পুরসভা বা প্রশাসনের কেউ দেখল না কেন। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, “পুকুর ভরাটের খবর শুনে চলে গেলেন বিধায়ক, অথচ ওনার দলের কাউন্সিলর অথবা পুরসভা সেটা জানেনা। সরকারি জমি দখল হয়ে গেছে। আসলে এই সরকারের আমলে আইন কানুন, প্রশাসন বলে কিছু নেই।” বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, সাধারন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বেআইনি কিছু হলে অভিযোগ করতে হবে সরাসরি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.