Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hooghly

ম্যাট্রিমনি সাইটে ‘ধনকুবের’ পরিচয়ে প্রতারণা! মন্দারমণি থেকে গ্রেপ্তার চক্রের পান্ডা

পুলিশ জানিয়েছে, অনুপম রায় নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে চক্রের পান্ডা জামির আব্বাস।

Hooghly woman duped of 44 lakhs in matrimonial site fraud
Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:October 16, 2025 4:48 pm
  • Updated:October 16, 2025 5:23 pm   

সুমন করাতি, হুগলি: ম্যাট্রিমনি সাইটে নিজেকে ‘ধনকুবের’ পরিচয় দিয়ে তরুণীর থেকে ৪৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এবার মন্দারমনির একটি রিসোর্ট থেকে গ্ৰেফতার প্রতারণা চক্রের পান্ডা জামির আব্বাস। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে হুগলি জেলা গ্ৰামীন পুলিশের সাইবার সেল। তাঁর বাড়ি হুগলির খানাকুলে।

Advertisement

গত জুলাই মাসে এই প্রতারনা চক্রের সঙ্গে যুক্ত দু’জন অভিযুক্তকে গ্ৰেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের বাসিন্দা অভিষেক রায়। অন্যজন হুগলির খানকুলের জাহির আব্বাস। ধৃত দু’জন প্রধান অভিযুক্ত জামির আব্বাসের ম্যানেজার হিসাবে পরিচয় দিয়ে প্রতারনা চক্র চালাতো বলে জানা গিয়েছে। বিয়ের সাইটের মাধ্যমে মহিলাদের সঙ্গে পরিচয় করে এই প্রতারনা চক্র হুগলি জেলায় প্রথম বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার, হুগলির সাইবার ক্রাইম থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন হুগলি গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার। তিনি জানিয়েছেন, গত ২৬ মে হুগলির সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। তিনি জানান, ম্যাট্রিমনি সাইটে অনুপম রায় নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।‌ এরপর বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ওই তরুণী ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলেন অভিযুক্ত জামির আব্বাস। নিজের নাম গোপন করে অনলাইনে অনুপম রায় পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করেন অভিযুক্ত।

Hooghly woman duped of 44 lakhs in matrimonial site fraud
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সাইবার সেলের সাংবাদিক সম্মেলন

পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে অভিযুক্ত জামির আব্বাস তরুণীকে জানায় জিএসটি এবং আয়কর সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর ব্যবসায় সমস্যা তৈরী হয়েছে। অভিযুক্ত দাবি করে, তাঁর সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু টাকা দিলে সব অ্যাকাউন্ট ফের চালু হয়ে যাবে। এই টোপ দিয়ে অভিযুক্ত ধাপে ধাপে মোট পাঁচটি এক্যাউন্ট থেকে ৪৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ তরুণীর পরিবারের।

অভিযোগকারী তরুণী জানিয়েছেন, টাকা হাতানোর পরেই অনলাইন সাইট থেকে অভিযুক্ত নিজের অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেয় এবং তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে তরুণীর পরিবারের লোকজন হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের সাইবার থানায় গত ৬ মে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।

তদন্তে নেমে প্রতারকদের ম্যানেজার হিসাবে পরিচয় দেওয়া অভিষেক রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিষেকের সূত্র ধরেই গত ৯ মে রাতে হুগলির খানাকুল থেকে জাহির আব্বাস নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তখনও অধরা ছিলেন মূল অভিযুক্ত, অনুপম রায় নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করা জামির আব্বাস। বুধবার রাতে সেই অভিযুক্তকেই মন্দারমনির একটি রিসোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জামির বিয়ের নাম করে একাধিক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী করে। ধীরে ধীরে পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করে তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করত জামির। এই ঘটনায় আরও কারা যুক্ত আছে সবটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ