প্রতীকী ছবি
মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: লোন ভেরিফিকেশনের নাম করে প্রতারণা। বাগনান থেকে গ্রেপ্তার পাঁচ অভিযুক্ত। চেকের উপরে ‘ভ্যানিশিং’ কালি দিয়ে দুষ্কৃতীরা লিখে দেয় ক্যানসেল। এরপরে সেই চেকে লিখে দেওয়া হয় টাকার পরিমাণ। পরবর্তীকালে বিশেষ সেই কালিতে লেখা ক্যানসেল শব্দটি উঠে গেলে সাধারণ চেক হিসেবে ব্যবহার করা হয় এটি।
জানা গিয়েছে এইভাবেই এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে থাকা লক্ষাধিক টাকা তুলে নেয় দুষ্কৃতীরা। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল তারা। সম্প্রতি বাগনান থানার পুলিশ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। বাগনান এলাকার এক ব্যক্তি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গ্রেপ্তার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগনানের খাদিনান এলাকার বাসিন্দা গোলাম কাদেরের কিছু টাকা লোনের প্রয়োজন ছিল। তার ছেলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানা গিয়েছে, বিনা সমস্যায় ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দেয় অভিযুক্তরা। তবে ন্যূনতম একটা ভেরিফিকেশন হবে বলে জানানো হয়। এরপরেই অভিযুক্তদের মধ্যে একজন বাড়িতে আসে লোন ভেরিফিকেশনের জন্য।
গোলাম কাদের পুলিশের কাছে নিজের অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে চেক দিলে ওই বাক্তি বিশেষ কালির পেন দিয়ে চেকের উপর ক্যানসেল শব্দটি লিখে দেয়। যেহেতু বিশেষ কালি দিয়ে লেখা তাই কিছুক্ষণ পরেই ক্যানসেল শব্দটি উঠে যায়। চেকে লেখা ছিল ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা। এই পদ্ধতিতেই অভিযুক্তরা সেই টাকা তুলে নেয় ব্যাঙ্ক থেকে।
প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বাগনান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কাদের। তদন্তে নেমে পুলিশ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে সমস্ত টাকাও। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযুক্তরা এই ধরনের বিশেষ পেনের কালি ব্যবহার করে একাধিক জায়গায় প্রতারণা করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.