ধস নেমেছে জাতীয় সড়কে। নিজস্ব চিত্র
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: বৃষ্টি বন্ধ হলেও আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়ছে না পাহাড়ের বাসিন্দাদের। মিরিকের বিশাল এলাকায় ছড়িয়েছিটিয়ে প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা। দার্জিলিংয়ের একাধিক জায়গা শনিবার রাতের ভয়াবহ বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত। যদিও এই মুহূর্তে পাহাড় থেকে পর্যটকরা এই মুহূর্তে নিরাপদে নামছেন। কিছুটা ছন্দে ফেরার পথে শৈলশহর। এর মধ্যেই ফের ধস নামল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। ফলে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিল।
বৃহস্পতিবার রাতে ২৯ মাইল ও গেলখোলার মধ্যে বড় ধরনের ভূমিধসের জেরে কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বাংলা-সিকিম লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ভরা পর্যটন মরশুমে ওই ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন কয়েকশো সিকিমগামী ও সিকিম ফেরত পর্যটক। একমুখী করে যানবাহন চলানোর চেষ্টা হয়েছে। ফলে তীব্র যানজটে নাকাল দশা হয়েছে পর্যটক ও সাধারণ মানুষের। সেভক থেকে লাভা এবং আলগাড়া হয়ে গরুবাথান দিয়ে কালিম্পং ও সিকিমে যান চলাচল করানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে বাংলা থেকে সিকিমের মধ্যে যাতায়াত করতে পর্যটকদের অতিরিক্ত চার ঘন্টা লাগছে৷
কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম টি বলেন, “রাতে জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ওই কারণে একমুখী যান চলাচল করছে। এনএইচআইডিসিএল কাজ করছে। যানজট এড়াতে জাতীয় সড়ক দিয়ে ঘুরপথে চলাচল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ২৯ মাইল থেকে গেইলখোলা যাওয়ার পথে একাধিক জায়গা ধসে তলিয়ে যায়। রাতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার সকাল থেকে রাস্তা মেরামতের পাশাপাশি ধস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। এরপর থেকে খুবই ধীর গতিতে একমুখী যান চলাচল করছে। ফলে তীব্র যানজটের কবলে পড়তে হয়েছে পর্যটকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.