প্রতীকী ছবি।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজের প্রতিবাদ করতেই প্রতিবাদীর মাথায় রডের আঘাত! পরে মৃত্যু। দুর্গাপুরের ভগতপল্লির এই ঘটনায় থানায় এসে আত্মসমর্পণ অভিযুক্তের। সাতদিনের হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে অভিযুক্তকে তুলেছে কোকওভেন থানার পুলিশ।
মৃতের নাম যীশু কুমার ওরফে রাজেশ। বয়স ৪৬ বছর। কোকওভেন থানার অন্তর্গত ভগতপল্লির এই ঘটনায় অভিযুক্ত পিন্টু বাউরি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধেয়। ট্যাঙ্কার চালক যীশু কুমার কাজ সেরে ২০ দিন পর বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের করঙ্গপাড়া গ্রামের চারমাথা মোড়ের কাছে গাছের তলায় বসে পিন্টু বাউরি মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ করছিল। নিশানায় ছিলেন যীশু কুমার। প্রতিবাদ করেন যীশু ওরফে রাজেশ। অভিযোগ, এরপরই বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুজন। শেষে যীশুর মাথায় লোহার রড দিয়ে মারে পিন্টু। রক্তাত্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তিনি। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালেই মৃত্যু হয় যীশুর।
অবস্থা বেগতিক বুঝে নিজেই কোকওভেন থানায় এসে আত্মসমর্পন করে অভিযুক্ত পিন্টু বাউরি। কোকওভেন থানার পুলিশ পিন্টুকে সাতদিনের হেফাজত চেয়ে বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলে। অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। গোটা ঘটনায় থমথমে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ভগতপল্লি। কেন প্রতিবাদ করলেই এমন মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হতে হবে? প্রশ্ন স্থানীয়দের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.